ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

আই এক্কান ঘর পাইলে প্রধানমন্ত্রীর লায় দুই হাত তুলি দোয়া গইত্তাম

প্রকাশ: ২০২১-০১-২৪ ১৭:০৯:২৪ || আপডেট: ২০২১-০৮-৩১ ২০:০১:২৩

 

পলাশ বড়ুয়া::
‘আই এক্কান ঘর পাইলে প্রধানমন্ত্রীর লায় দুই হাত তুলি দোয়া গইত্তাম’ আঞ্চলিক ভাষায় উক্তিটি করেছেন বিধবা সোনা মেহের। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের উত্তর পুকুরিয়ায় ত্রিপলের ছাউনিযুক্ত মাটির ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন সোনা মেহের। স্বামী মৃত ফকির আহমদ।

সংসার জীবনে ২ ছেলে থাকলেও কেউ তার সাথে নেই। দু’জনই বিয়ে করে অন্যত্রে সংসার করছে যে যার মতো। বর্তমানে একা থাকেন সোনা মেহের। একটু খোঁজ নেওয়ার মতো কেউ নেই তার।

২৪ জানুয়ারি সরেজমিনে কথা হয় সোনা মেহের এর সাথে। জানালা বিহীন কুঁড়ে ঘরে নেই কোন বসার মতো উপকরণ। টিনের দরজাযুক্ত ছোট ঘরটিতে নেই আলাদা রান্না ঘর। চুলায় আগুন কখনো জ্বলে ত, কখনো জ্বলে না। অন্যের ঘরে কাজ করলে জোটে দু-মুঠো খাবার। অন্যথায় অনাহারে চলে যায় মেহেরের জীবন।

সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে হয়ে সোনা মেহের বলেন, “শুনেছি সরকার ভুমিহীন ও গৃহহীনদের থাকার জন্য ঘর করে দিচ্ছে। আমি যদি একটা ঘর পেতাম প্রধানমন্ত্রীর জন্য দুই হাত তুলে দোয়া করতাম।”

তিনি বলেন, প্রতি বৎসর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায় থাকার ঘরটি। তখন মাথা গুজানোর মতো পরিবেশ থাকে না। যার ফলে অন্যের বাড়িতে গিয়ে রাত কাটাতে হয়। এছাড়াও শীত মৌসুম আসলে ঠান্ডার প্রকোপে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করতে হয়।

তিনি আরো বলেন, জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময় ঘর বরাদ্দের আশ্বাস দিলেও ভাগ্যে জোটেনি একটি ঘর।

এ বিষয়ে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, সোনা মেহেরকে সম্পর্কে আমি জানি। পূর্বের তালিকায় উনার নাম ছিল না। যেহেতু পূর্বের তালিকাটি প্রণয়ন করেছেন শিক্ষকরা। আগামীতে নতুন করে ঘরের তালিকায় সোনা মেহের নামটি রাখা হবে।

এ প্রসঙ্গে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে যে সকল ভুমিহীন ও গৃহহীনরা ঘর পাচ্ছেন এই তালিকা গুলো অনেক আগের। তাই নতুন করে সোনা মেহেরের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।