ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

নতুন যুগের নেতৃত্ব দিচ্ছে টাচ জেনারেশন

প্রকাশ: ২০১৩-০৯-২৬ ১৩:৫৫:৪২ || আপডেট: ২০১৩-০৯-২৬ ১৩:৫৬:০৫

image_46927_0সিএসবি ডেস্ক, ২৬ সেপ্টেম্বর ॥
তরুণ প্রজন্মকে ‘টাচ জেনারেশন’ উল্লেখ করে তারাই এখন নতুন যুগের নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ইন্টেল সাউথ এশিয়ার স্ট্র্যাটেজিক ইনিশিয়েটিভস ডিরেক্টর রাজিব ভাল্লা।

বুধবার রাজধানীর বেঙ্গল গ্যালারি অব ফাইন আর্টসে অনুষ্ঠিত ‘কিডস অ্যান্ড টেকনোলজি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন রাজিব ভাল্লা।

রাজিব ভাল্লা বলেন, “বর্তমানে শিশুরা স্মার্টফোন অথবা ট্যাবলেটে সর্বশেষ গেম খেলতে পছন্দ করে। স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের মতো টাচস্ক্রিন কম্পিউটিং ডিভাইসের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের একটি নতুন জেনারেশন তৈরি হচ্ছে যাকে আমরা টাচ জেনারেশন বলে থাকি। আর এই প্রযুক্তির ব্যবহার কম্পিউটারের সঙ্গে শিশুসহ আমাদের জীবনযাত্রাকে পাল্টে দিচ্ছে। আমরা এমন একটি সময়ে অবস্থান করছি যেখানে প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের সমন্বয়ের বিপ্লব ঘটছে। টাচস্ক্রিন জেনারেশন বৃদ্ধির ফলে প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের শুধু সমন্বয় নয় আমাদের ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি চাহিদাও পাল্টে দিচ্ছে।”

ইন্টেল বাংলাদেশ ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ ইন্টারেক্টিভ সেশনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইন্টেলের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়া মঞ্জুর, ব্রিটিশ কাউন্সিলের সিনিয়র ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কনসালটেন্ট আলেকজান্দ্রা টায়ারস্, আইসিডিডিআরবির হেড অব চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট ড. জেনা ডি. হামাদানি, আদমজি ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা ও বিভিন্ন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।
প্রযুক্তির ফলে টাচ জেনারেশন কিভাবে উপকৃত হতে পারে এবং প্রযুক্তি কিভাবে জীবনমানের ওপর ভাল প্রভাব ফেলে তা নিয়ে এ অনুষ্ঠানে আলোচনা করা হয়।
পুরো আয়োজন ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল শিশুদের জন্য প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়। এসব বিষয়ের মধ্যে ছিল, কখন শিশুদেরকে প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করা যায় এবং তাদের উন্নয়নের জন্য মজার, তথ্যবহুল ও জড়তাহীন পরিবেশে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে কোনো ধরণের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে দেয়া উচিত তা নির্ধারণ করা।

ব্রিটিশ কাউন্সিলের সিনিয়র ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কনসালটেন্ট আলেকজান্দ্রা টায়ারস্ বলেন, “প্রযুক্তি ব্যবহারের অন্যতম বৃহত্তম খাত হচ্ছে শিক্ষা। আর প্রযুক্তি শ্রেণীকক্ষের ভেতরে-বাহির সবখানেই পাঠদান প্রচলিত মাধ্যম হয়ে উঠছে। এই ধারণাটি বাংলাদেশে বিস্তৃতি লাভ করেছে। কিন্তু চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা ক্ষেত্রে হোলিস্টিক পদ্ধতির ঘাটতি এবং সহজলভ্য উচ্চমান কন্টেন্টগুলোতে সচেতনতার অভাব। আর এইসব চ্যালেঞ্জ জয় করে সামনে এগিয়ে যেতে ইন্টেলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করে যাচ্ছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।”

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অভিভাবকরা ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সম্পৃক্ত থাকার ফলে শিশুরা শুধুমাত্র টাচস্ক্রিন কম্পিউটারই ব্যবহার করছে না, পাশাপাশি বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে তাদের জ্ঞানের বিকাশও ঘটছে। শিশুরা ডিজিটাল নাগরিক হিসেবে বেড়ে উঠছে, তাই তারা প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো কিভাবে ব্যবহার করছে সেই বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। একটি ডিভাইস কিভাবে শক্তিশালী শিক্ষা উপকরণ হতে পারে এবং শিশুরা কী শিখছে ও অভিজ্ঞতাকে কিভাবে কাজে লাগাচ্ছে সেটিও বিবেচনা করতে হবে। এটিএম থেকে শুরু করে ট্যাবলেট, মোবাইল ফোন থেকে পাবলিক স্মার্ট ডিসপ্লে কিয়স্ক-এর মতো টাচ নির্ভর স্ক্রিন বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন এগুলোর ব্যবহারও বেড়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি টাচ প্রযুক্তি আমাদের উন্নয়ন ও আধুনিক বিশ্বকে জানার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যখন শিশুরা তাদের হাতের মাধ্যমে কোনো বস্তু নাড়াচড়া করতে সমর্থ হয়, তখন তারা এটিকে তাদের মুখে প্রবেশ করায় যেখানে টাচপ্রযুক্তি সব থেকে বেশি সক্রিয়ভাবে কাজ করে।

অনুষ্ঠানে শিশুদের উন্নয়ন ও প্রযুক্তি, শিশুদের সঙ্গে প্রযুক্তিকে পরিচয় করে দেয়া, শিশুদের জন্য শীর্ষ গেম ও অ্যাপস, প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সীমা নির্ধারণ করা, শ্রেণীকক্ষে প্রযুক্তি ও টাচ কম্পিউটার ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে ইন্টেল প্রসেসর নির্ভর সর্বশেষ প্রযুক্তির ইন্টেল টাচ ডিভাইস, ট্যাবলেট ও অন-ইন-ওয়ান পিসি প্রদর্শন করা হয়।