ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল লাইব্রেরী টেক্সাসে

প্রকাশ: ২০১৩-০৯-২৬ ০৮:০৩:৫০ || আপডেট: ২০১৩-০৯-২৬ ০৮:০৩:৫০

image_46785_0সিএসবি ডেস্ক, ২৬ সেপ্টেম্বর ॥
বিশাল লাইব্রেরি৷ কয়েকশো পাঠক একসঙ্গে বসে পড়াশোনা করছেন৷ অথচ কাগজ কলমের চিহ্নমাত্র নেই৷ শুনে আশ্চর্য লাগলেও এমনটাই সত্যি টেক্সাসের বেক্সার কাউন্টিতে৷ বিশ্বের প্রথম সম্পূর্ণ ডিজিটাল লাইব্রেরির উদ্বোধন হল সেখানে৷ স্বল্প মূল্যের এই প্রজেক্টের সুফল যাতে দূর-দূরান্তের মানুষের কাছেও পৌঁছে দেয়া যায়, তাই সান আন্তোনিওর প্রত্যন্ত প্রান্তেও খোলা হচ্ছে ই-লাইব্রেরির পরবর্তী শাখা৷

প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর লরা কোলের কথায়, ‘সান আন্তোনিও ও তার পাশ্ববর্তী শহরতলিতে জনসংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে সমস্ত মানুষের কাছে লাইব্রেরির সুবিধা পৌঁছে দিতেই এই প্রচেষ্টা৷’ যদিও সান আন্তোনিওতে ইতিমধ্যেই একটি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে এবং সেখানে বইয়ের সংগ্রহও নজরকাড়া৷ তবে বেক্সার কাউন্টিতে কোনো লাইব্রেরি এখনো পর্যন্ত নেই৷ সেখানে এই ই-লাইব্রেরি তাই জনপ্রিয়তা পাবে বলেই লরার বিশ্বাস৷

এর ফলে ১৭ লক্ষ মানুষ যেমন বই পড়ার সুযোগ পাবেন, তেমনই স্কুল-কলেজের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে এই লাইব্রেরি৷ বেশি রাত পর্যন্ত খোলা থাকার ফলে চাকুরিজীবী মানুষও স্বচ্ছন্দে পড়াশোনা করতে পারবেন এখানে৷

এই ধরনের ডিজিটাল লাইব্রেরির প্রয়াস অবশ্য এই প্রথম নয়৷ এর আগে ব্রিটেনেও ডিজিটাল লাইব্রেরি গড়ার চেষ্টা হয়েছে৷ লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ কর্তৃপক্ষ গত বছরই ঘোষণা করেছে, তাদের লাইব্রেরির ৯৮ শতাংশই ডিজিটাল জার্নাল৷ লাইব্রেরিকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল করতে প্রিন্টেড বই কেনাও বন্ধ করেছে তারা৷

ডিজিটাল লাইব্রেরির ব্যাপারে কিছু মানুষের উত্সাহের যেমন অন্ত নেই, তেমনই এই লাইব্রেরির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ‘নিউ ইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরি’র অধিকর্তা ক্রিস্টোফার প্ল্যাট৷ তার বক্তব্য, ‘এমন কিছু দুষ্প্রাপ্য বই রয়েছে, যেগুলির পাণ্ডুলিপি আমাদের কাছে ঐতিহ্যশালী সম্পদ৷ দূরদূরান্ত থেকে এমন অনেক পাঠক আসেন, যাঁরা শুধু ডিজিটাল লাইব্রেরিতে বসে এই বই পড়ে খুশি হতে পারবেন না৷ তারা এই বইগুলি হাতে ছুঁয়ে, পড়ে, গন্ধ নিয়ে এগুলিকে উপলব্ধি করতে চান৷ তাই আমাদের লাইব্রেরি পুরোপুরি ডিজিটাল করা সম্ভব নয়৷’ তবে, বিশ্বায়নের যুগে ডিজিটাল জগত্ থেকে পুরোপুরি মুখ ফিরিয়ে নেয়নি তারা৷ ‘নিউ ইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরি’তে সাধারণ টেক্সট বইয়ের পাশাপাশি রয়েছে ডিজিটাল বইয়ের সংগ্রহও৷

অনেক ক্ষেত্রেই উপযুক্ত অনুদানের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন পাবলিক লাইব্রেরি৷ প্ল্যাটের বক্তব্য, ‘আজ অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর হাতেই আইপ্যাড, তবু সব স্কুল ই-লাইব্রেরি চালু করার তাগিদ অনুভব করেনি৷ আমার মতে, এখনই সব কিছু ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত হঠকারী৷ তার চেয়ে যে লাইব্রেরিগুলো রয়েছে, আগে সেগুলোর উন্নতির চেষ্টা করা হোক৷’ – সংবাদসংস্থা