ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

সম্ভাবনাময় খাত সফটওয়্যার শিল্প

প্রকাশ: ২০১৩-০৯-২২ ০৭:৪৪:৪৯ || আপডেট: ২০১৩-০৯-২২ ০৭:৪৪:৪৯

image_46132_0সিএসবি ডেস্ক, ২২ সেপ্টেম্বর ॥
বাংলাদেশে সফটওয়্যার শিল্পের প্রবৃদ্ধি সবাইকে চমকে দিচ্ছে শতকরা ৫০ ভাগ প্রবৃদ্ধি আর কোনো শিল্পে আছে কিনা বলা কঠিন৷ সংশ্লিষ্টরা মনে করেন সরকারের সহায়তা পেলে এই খাত বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে আরো বড় ভূমিকা রাখবে৷

শুধু প্রাতিষ্ঠানিক নয়, ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনেক তরুণ আউটসোর্সিং করে মাসে প্রায় লাখ টাকা আয় করছেন৷ তারা প্রচলিত ধারার চাকরি না খুঁজে হয়ে উঠছেন সাবলম্বী৷

চলতি বছরে সফটওয়্যার রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ১০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ গত বছর এই আয় ছিল ৭০ মিলিয়ন ডলার৷ সফটওয়্যার রফতানিকারকদের সংগঠন বেসিস এর সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর জানান, তাদের আশা আগামী বছর রপ্তানির পরিমাণ ২০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে৷

সফটওয়্যার তৈরি করে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এখন বাংলাদেশে প্রায় ছয়শো৷ ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাজ করছেন এমন তরুণ, যুবকের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশের তৈরি সফটওয়্যারের বাজার গড়ে উঠেছে ইউরোপ, অ্যামেরিকায়৷

ফাহিম মাশরুর জানান, অনেকে হয়ত জানেনই না বড় বড় মোবাইল ফোন কোম্পানির ফোনসেটের জন্য নানা ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে এছাড়া ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন, বড় বড় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কাজের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করে নেয়া হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে৷

এসব কাজে প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ভাবে তরুণরা যুক্ত হচ্ছেন৷ বাংলাদেশে এখন ২৫ হাজার তরুণ আছেন যারা ঘরে বসেই আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরি করে বাইরে পাঠাচ্ছেন৷ তাদের প্রত্যেকের আয় মাসে গড়ে এক থেকে দেড় হাজার ডলার৷

ফাহিম মাশরুর জানান শুধু ঢাকা নয় ঢাকার বাইরেও কাজ হচ্ছে৷ ঢাকার বাইরে সফটওয়্যার তৈরির প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠছে৷

তবে বাংলাদেশে এই শিল্পের প্রধান বাধা স্বল্পগতির ইন্টারনেট এবং তার খরচ৷ সেই সঙ্গে প্রশিক্ষিত জনবলের অভাবতো আছেই৷ বেসিসের উদ্যোগে প্রতি বছরই কিছু প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়৷

তবে এজন্য সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন ফাহিম মাশরুর৷ তিনি বলেন, ঢাকার কারওয়ান বাজারে একটি ভবন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যেখানে সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জায়গা পেয়েছে৷ আর ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো ও খরচ কমানোর উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে৷

সফটওয়্যারের অর্ডার এবং তা পাঠানোর জন্য ইন্টারনেট যেমন জরুরি তেমনি সহায়ক ইউটিউবসহ আরো কিছু ওয়েবসাইট৷ কারণ অনেক সময় নানা ধরনের ডিজাইন এবং চাহিদা ইউটিউবের মাধ্যমেই আসে৷

ফাহিম মাশরুর জানান, কয়েক মাস আগে বাংলাদেশে ইউটিউব বন্ধ থাকায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এই শিল্পে৷ তাই এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলে তা ভেবে চিন্তে নেয়া দরকার বলে মনে করেন ফাহিম।