ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফেসবুকে ভুঁয়া প্রোফাইল চেনার উপায়

প্রকাশ: ২০১৩-০৯-২২ ০৭:২৮:৪৯ || আপডেট: ২০১৩-০৯-২২ ০৭:২৮:৪৯

image_45282_0সিএসবি ডেস্ক ॥
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে হয়তো আপনার নিত্যদিনের চলাফেরা। রোজ নিত্যনতুন আপডেট, প্রোফাইল ছবি বদল করা, কে কার সঙ্গে গুয়াতেমালায় বেড়াতে গেল আর কার বিয়ের দিন ঠিক হল, সব কিছুর খোঁজ পাওয়ার জন্য আপনিও কাজের মাঝেই থাকেন মুখিয়ে। তার ওপর হরেক ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ বা বন্ধুত্বের আবেদন আসা তো গড়পড়তা ব্যাপার। তারও উত্তেজনা কিছু কম নয়।

চেনার গন্ডি পেরিয়ে অচেনা র্যান্ডম মানুষের একে ওকে ‘বন্ধুত্বের আবেদন’ পাঠানো ও সেই প্রোফাইলটিকে নিমেষে জরিপ করে ‘অ্যাক্সেপ্ট’ করে ফেলা- এমন আর বেশি কথা কী! কিন্তু দিন কয়েক পরেই যদি দেখেন আপনার প্রোফাইলটা বেমালুম হ্যাক করে নিয়েছে কেউ কিম্বা আপনার সম্পর্কিত তথ্য ও ছবি যার জানার কথা নয়, তেমন কেউ জেনে যাচ্ছে ম্যাজিকের মতোই? তাহলে জানবেন, আপনার ফেসবুকের বন্ধুদের মধ্যে একটি ফেক প্রোফাইল আছে নিশ্চিত।

ফেসবুক কিম্বা অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ভালমানুষ বা পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়ার পাশাপাশিই, অনেক সময়ই অজান্তে মুখোমুখি হতে হয় ফেক প্রোফাইলের। আপনার বিশ্বাস আনার জন্য ছবি, পোস্ট, ইদানিংকালের কমেন্ট ও নানান অ্যাক্টিভিটিতে ঠাসা প্রোফাইলটি দেখে নিছকই অচেনা বা চেনা মানুষটার প্রোফাইল ভেবে গুলিয়ে ফেলে, যেই না আপনি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাক্সেপ্ট করলেন, ঠিক তখনই সুন্দর বিস্তার করা ফাঁদে পড়ে গেলেন আপনি! এমনটা হওয়ার আগে সাবধান হন। চিনতে শিখুন ফেক প্রোফাইলের রকম-সকম।

প্রোফাইল হ্যাক হওয়া বা নিজস্ব তথ্য অচেনা অপ্রয়োজনীয় কাউকে জানতে না দিতে চাইলে, চিনে ফেলুন প্রোফাইলটিকে। সাবধান হোন ফেক প্রোফাইলের থেকে। মনে রাখবেন, নিছক ছেলেমানুষি মজা করা ছাড়াও অনেক খারাপ চক্রের বদ উদ্দেশ্য থাকে এমন ফেক প্রোফাইলের পেছনে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কিভাবে চিনবেন ফেক প্রোফাইল?

প্রথমেই প্রোফাইল ও কভার ছবি দুটি খুঁটিয়ে দেখুন। একই মানুষের দুটো আলাদা ছবি থাকলে এবং ছবির অ্যালবাম খোলা থাকলে, সেখানেও সেই মুখেরই অন্যান্য ছবি আছে কিনা দেখে নিন। প্রোফাইল মালিকের ছবি না থেকে ফিল্মি তারকা অথবা গাছপালা বা কার্টুনের ছবি দেখলে সাবধান হন আগে ভাগে- প্রোফাইলটা হতে পারে ফেক বা বিশেষ উদ্দেশ্যে বানানো।

তারপর সেই প্রোফাইলের ফ্রেন্ড লিস্টে কতজন বন্ধু আছে এবং যার প্রোফাইল তার বয়স বা উপস্থিতির সঙ্গে মিল খাচ্ছে কিনা সেই বন্ধুদের সারি, একটু পরখ করে দেখে নিন। আদৌ সেই বন্ধুগুলো মানুষটির চেনা কি না, সেটার ব্যাপারে একটু আইডিয়া হয়ে গেলে, ঘেঁটে দেখুন ফ্রেন্ড লিস্টের আরও কয়েকটা প্রোফাইল। ফেক প্রোফাইলটার ‘রিসেন্ট অ্যাক্টিভিটি’, বা কিছু দিনের কার্যকলাপ, পোস্ট বা কমেন্ট করা কিছু আছে কিনা, খুঁজে দেখুন ওয়ালে। লক করা না থাকলেও যদি দেখেন বিশেষ কোনও পোস্ট বা কথোপকথন নেই, বুঝে নিন জিনিসটা সুবিধের নয় একেবারেই! ফেক প্রোফাইলের নামকরণ মাঝেসাঝে অবাস্তব নয়তো অত্যন্ত প্রচলিত হয়। খেয়াল রাখুন সেদিকেও।

তারপর কোনোভাবে চিনে নিতে পারলেই এক্কেবারে ‘ব্লক’ করে, ধরা-ছোঁওয়ার বাইরে চলে যান প্রোফাইলটির। কেই বা চাইবেন নিছক অচেনা বন্ধুত্ব বাড়াতে গিয়ে নিজের প্রোফাইলটিকে হ্যাক করাতে? সূত্র: ওয়েবসাইট।