ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রীতি জিনতাও মামলার হুমকি দিলেন

প্রকাশ: ২০১৩-০৯-১৮ ১৪:৩৩:১৪ || আপডেট: ২০১৩-০৯-১৮ ১৪:৩৩:১৪

03 preity-zintaসিএসবি বিনোদন ডেস্ক, ১৮ সেপ্টেম্বর ॥ জানে তু ইয়া জানে না’খ্যাত নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা আব্বাস টায়ারওয়ালার করা চেক-বাউন্স মামলায় হাজিরা না দেওয়ায় জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে প্রীতি জিনতার বিরুদ্ধে। আব্বাস মিথ্যাচার করেছেনÑএমন অভিযোগ তুলে এবার তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলার হুমকি দিয়েছেন প্রীতি জিনতাও।
এ প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ প্রীতি বলেন, ‘আব্বাস যে মিথ্যাচার করেছেন, তার প্রমাণ আমার কাছে আছে। এরই মধ্যে আমরা সেসব প্রমাণ আদালতের কাছে হস্তান্তর করেছি। তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব আমরা।’ সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে জিনিউজ।
প্রীতি প্রযোজিত ও অভিনীত ‘ইশক ইন প্যারিস’ ছবির সংলাপ লেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আব্বাসকে। কিন্তু আব্বাস তাঁর মামলার অভিযোগে দাবি করেছেন, এখন পর্যন্ত প্রীতি তাঁর পারিশ্রমিক পরিশোধ করেননি। প্রীতি তাঁকে ১৮ লাখ রুপির চেক দিয়েছিলেন। কিন্তু চেক বাউন্স করেছে।
এই মামলায় প্রীতিকে বারবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হলেও তিনি তা মানেননি। এ জন্য তাঁকে জরিমানাও করা হয়েছিল। পর পর চারবার তিনি আদালতের আদেশ অমান্য করেছেন। এসব কারণে সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন মুম্বাইয়ের আন্ধেরী আদালত। রাজস্থানের উদয়পুরে সানি দেওলের সঙ্গে ‘ভাইয়াজি সুপারহিট’ ছবির শুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত থাকায় এখন পর্যন্ত আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি প্রীতি।
প্রীতি বলেছেন, ‘ইশক ইন প্যারিস ছবির সংলাপ লেখার জন্য আমরা আব্বাসকে চেক দিয়েছিলাম। কেবল সংলাপ হস্তান্তর করার পরই তাঁর টাকা ওঠানোর কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি কাজ শেষ করতে পারেননি। তাঁর লেখা সংলাপ আমরা ছবিতে ব্যবহারও করতে পারিনি। কাজেই তাঁকে পারিশ্রমিক দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তিনি চেক বাউন্সের মামলা করেছেন আমার বিরুদ্ধে। অথচ যে কাজের জন্য তাঁকে এ চেক দেওয়া হয়েছিল, সেই কাজ তিনি করেননি। আমি চাইলে আব্বাসের বিরুদ্ধে চেক চুরির মামলা করতে পারতাম। কিন্তু আমি তাঁকে হেনস্তা করতে চাইনি।’
প্রীতি আরও জানান, ‘ওই ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যক্তির পারিশ্রমিক পরিশোধ করা হয়েছে। আব্বাস যদি সত্যিই আমাদের ছবির জন্য কাজ করতেন, তবে তাঁকেও তা দেওয়া হতো। কিন্তু যে কাজ তিনি করেননি, তার জন্য পারিশ্রমিক দাবি করার কোনো মানে হয় না। তিনি আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি স্বাক্ষর করেননি। আমাদের ছবিতে কাজ করেছেনÑএমন কোনো কাগজপত্র যদি তিনি দেখাতে পারেন, তবে সানন্দেই আমরা তাঁর পারিশ্রমিক দিয়ে দেব।’
আব্বাস তাঁর সরলতার সুযোগ নিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন প্রীতি। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘আব্বাস আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে কাজ শুরুর আগেই চেক হাতিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি কথা না রেখে বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন। আর এখন মিথ্যা অভিযোগে মামলা করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণেœর চেষ্টা করছেন। কোনো অবস্থাতেই আমি তাঁর ব্ল্যাকমেইলের শিকার হব না। সামান্য ১৮ লাখ রুপির জন্য পেশাজীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়ার মতো বোকা আমি নই।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৪ মে মুক্তি পায় প্রীতি জিনতা প্রযোজিত ‘ইশক ইন প্যারিস’ ছবিটি। যৌথভাবে ছবিটির কাহিনি লেখার পাশাপাশি এতে অভিনয়ও করেন প্রীতি। মুক্তির মাত্র তিন দিনের মাথায় বহু প্রেক্ষাগৃহ ছবিটির প্রদর্শনী বন্ধ করে দেয়। এখন পর্যন্ত বছরের সবচেয়ে ফ্লপ ছবি এটি। ১৫০ মিলিয়ন রুপি বাজেটের ছবিটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আয় করেছে মাত্র ২০ মিলিয়ন রুপি। বক্স অফিসে ছবিটির এমন ভরাডুবির পর বহু ধারদেনা করতে বাঁধ্য হয়েছেন প্রীতি।