ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

রূপকথার মৎস্যকুমারীর দেখা মিলছে বাস্তবে

প্রকাশ: ২০১৩-০৯-১৭ ১০:৩৮:৫১ || আপডেট: ২০১৩-০৯-১৮ ১৩:১২:৩৮

mkসিএসবি ডেস্ক, ১৭ সেপ্টেম্বর ॥
রূপকথার গল্পের অন্যতম একটি চরিত্র ‘মৎস্যকুমারী’। অর্ধেক মানবী আর অর্ধেক মাছরূপী মৎস্যকুমারীর সুরে বিমোহিত হয়ে জাহাজের নাবিকের অতলে সাগরের জলে লাফিয়ে পড়ার গল্পটা খুবই মনোমুগ্ধকর।

শৈশবে সত্যি মনে হলেও মৎস্যকুমারীর অস্তিত্ব নেই। মৎস্যকুমারী শুধুই কল্পনা, বাস্তব নয়। এবার বাস্তবে সাক্ষাৎ মিলছে সেই মৎস্যকুমারীর।

যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট মাইরেড কেলি ও তার দুই বান্ধবী হচ্ছেন, বাস্তবে মৎস্যকুমারী। ২৫ বছর বয়সী মাইরেড কেলি ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত রোগী ছিলেন। রোগ থেকে সেরে ওঠার পর মৎস্যকন্যা হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেন তিনি।

পড়াশোনা শেষে অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করছেন মাইরেড। কিন্তু, অবসর সময়ে মাছের লেজ সদৃশ তিন হাজার পাউন্ডের সিলিকন লেজ পরে সাঁতার কাটেন। সাঁতার কাটায় তার অসুস্থতা কেটে উঠেছে বলে জানান তিনি।

২০১০ সালে কেলির ব্রেন টিউমার শনাক্ত হয়। এক বছর পর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে টিউমার অপসারণ করা হলে আবারো টিউমার দেখা দেয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আবারো অস্ত্রোপচার করা হয় তার মাথায়। এখন অনেকটাই সুস্থ তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যায় ভুগতেন মাইরেড। খুবই ক্লান্ত লাগতো, চুল পড়ে যেত ও শরীরে কালচে দাগও পড়তো। নিজের শরীরকে সুস্থ করতে সাঁতারকে শারীরিক অনুশীলন মেনে তিনি নিয়মিত মৎস্যকন্যা সেজে সাঁতরাচ্ছেন।

তিনি জানান, ‘গত কয়েক বছরের তুলনায় আমি বেশ শক্তিশালী। পানির নিচে সাঁতার কাটা ধ্যানের মতোই। সেখানকার পরিবেশ বাইরের বিশ্ব থেকে আলাদা এবং সবকিছুই নীরব ও শান্তিপূর্ণ।’ মৎস্যকন্যা সাজাকে নির্ভুল সিদ্ধান্ত দাবি করে তিনি জানান, ‘এটি ভিন্ন এবং পুরোপুরি ব্যতিক্রম।’

তার দলের অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন ২৪ বছর বয়সী ফ্রাঙ্কি দুবেরি এবং ২৫ বছর বয়সী দেমেলজা হিলিয়ার। পুরাদস্তুর মৎস্যকুমারী হতে তারা শীতল লেক বা পুলে সপ্তাহে ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় অতিবাহিত করেন।