ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

এমপি বদির রিমান্ড শুনানি পুননির্ধারণ

প্রকাশ: ২০১৪-১০-২৬ ১৮:৩৮:৩৭ || আপডেট: ২০১৪-১০-২৬ ১৮:৩৯:১২

bodi
ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির রিমান্ড আবেদনের শুনানি পিছিয়ে আগামী মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) পুননির্ধারণ করেছেন আদালত।

রোববার (২৬ অক্টোবর) রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য থাকলেও হরতালের কারণে এমপি বদিকে আদালতে হাজির করা যায়নি। এ কারণে শুনানির দিন পিছিয়ে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) পুননির্ধারণ করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আশিকুর রহমানের আদালত।

গত ১৯ অক্টোবর এমপি বদিকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার ঢাকার সিএমএম আদালতে আবেদন জানায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের স্পেশাল পিপি মো. কবির হোসাইন বদির রিমান্ড চান।

দুপুরে রিমান্ড শুনানির দিন রোববার ধার্য করেছিলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল হকের আদালত। এমপি বদিকে শুনানির সময় হাজির করতেও কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

গত ১২ অক্টোবর বদি ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান। পরদিন ১৩ অক্টোবর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে বদির জামিনের আবেদন করা হলে ১৬ অক্টোবর দায়রা আদালত তা নাকচ করে দেন।

গত ২১ আগস্ট এমপি আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক খায়রুল হুদা ও আবদুস সোবহান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তার হলফনামার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আব্দুর রহমান বদি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যের সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।

অভিযুক্তের সম্পদ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি, সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রার অফিস, এনবিআর, বিআরটিএ, রাজউক, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি, রিহ্যাব, ব্যাংক-বীমাসহ অন্যান্য অফিসে অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে সম্পদের হিসাব বের করেছেন। পাশাপাশি অভিযুক্তের নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।