শহীদ মিনার কোন দল বা গোষ্ঠির সম্পত্তি নয়
প্রকাশ: ২০১৪-১০-১৯ ১৩:৫১:১৬ || আপডেট: ২০১৪-১০-১৯ ১৩:৫১:১৬
অনলাইন ডেস্ক |
একটি ভূইফোঁড় সংগঠনের গুটি কয়েক কর্মী দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শহীদ মিনারে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ও পরবর্তীতে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দ্বিধা ভিবক্ত করার জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, কলামনিস্ট, আইনজীবীসহ নয় বুদ্ধিজীবীকে শহীদ মিনারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। যেখানে তাদের অনেকেই পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, গণতন্ত্র মুক্তি সংগ্রাম, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সহ গণ মানুষের পক্ষে স্ব স্ব অবস্থান থেকে ভূমিকা রেখেছেন। ভাবতে অবাক লাগে যাদের হাত ধরে সেই ১৯৬৮ সালে আমার ছাত্রলীগের রাজনীতির হাতেখড়ি তাদের মধ্যে অন্যতম, সময়ের সাহসী সৈনিক দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক জনাব মতিউর রহমান চৌধুরী যিনি মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে ২৬শে মার্চ ৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন এবং পরবর্তীতে সিলেটে কারাগার ভেঙ্গে তাকে নিয়ে আসে মুক্তিকামী জনতা। যে মতিউর রহমান চৌধুরী স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে মৌলভীবাজার মহাবিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্রথম ভিপি নির্বাচিত হন এবং আজকের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যখন ছাত্রলীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন সেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কমিটির তিনি তখন সহ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন, এমনকি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নেতৃত্বদানকারি শেখ ফজলুল হক মনির সম্পাদিত বাংলার বাণীর মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালনকারি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সংগঠক কে অসম্মান করা বিগত ৪৫ বছরের ইতিহাস সম্পর্কে এ সরল প্রাণ প্রজন্মের কয়েক জনের অজ্ঞতা ও দৈন্যতা ছাড়া আর কিছু নয় বলে আমার বিশ্বাস। যে চক্রটি পিছন থেকে শহীদ মিনার,স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বীকৃত অবস্থান নিয়ে খেলছেন তারা প্রকৃত পক্ষে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের এই সময়ের প্রধান দাবি সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে আড়াল করার পাশাপাশি এই নয় ব্যক্তিত্ব কে যারা কিনা স্ব স্ব ক্ষেত্রে বাংলার গণ মানুষের পক্ষে নানা সময়ে ভুমিকা রেখেছেন তাদের কে কৃত্রিমভাবে ইস্যু বানিয়ে জাতিকে দ্বিধা বিভক্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত, তাদেরকে আগামীতে ইতিহাসের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। পরিশেষে আমি দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সুস্থ রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষে সকলকে সহনশীল ও দেশপ্রেমিক ভূমিকা রাখার আহবান জানাচ্ছি।