ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নোমান কলেজ সংলগ্ন এলাকায় জমি দখলের চেষ্টা

প্রকাশ: ২০১৪-১০-১৭ ২১:০২:৫৭ || আপডেট: ২০১৪-১০-১৭ ২১:০২:৫৭

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও প্রাণহানির আশঙ্খা

বিশেষ প্রতিবেদক ॥
প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতার সুযোগে কর্ণফুলি শাহ আমানত সংযোগ সড়ক সংলগ্ন এলাকায় সেতুর উত্তর পূর্ব পাশে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালতের নিষেধাঙ্গা অমান্য করে বিরোধীয় একটি জায়গায় স্থানীয় ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীরা দোকান পাট ও মার্কেট নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায় বাকলিয়া থানাধীন শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক ও সেতু সংলগ্ন এন এম এম জে কলেজ (প্রকাশ নোমান কলেজ ) সংলগ্ন প্রায় ১৪ কোটি টাকা মূল্যের জমিতে অবৈধভাবে এই দোকান পাট ও মার্কেট নির্মাণ করে চলেছে স্থানীয় শফি নাছির ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট। অথচ বাকলিয়া থানাধীন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নীরব।

শুধু তাই নয় শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী জায়গার মালিক আলমগীর নুর সন্ত্রাসীদের কার্যক্রমে বাধা দিলে দখলদাররা ৩০/৪০ জনের একটি দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জায়গার মালিককে হামল করার জন্য এগিয়ে আসে এবং দখলদাররা কয়েক রাউন্ট ফাঁকাগুলি ছুড়ে এলাকায় এাস সৃষ্টি করে।

দীর্ঘদিন ধরে নোমান কলেজ সংলগ্ন বাকলিয়া বন্দর মৌজার বি এস খতিয়ান ৩৫৫,৩৫৬ খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত ১৪ শতাংশ জমি দখলের পায়তারা আসতেছিল স্থানীয় শফি নাছির ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী বাহিনী। তার বিরোধীয় জায়গায় জোরপূর্বক অবৈধভাবে দোকানপাট ও মার্কেট নির্মাণের অপচেষ্টা করছিল। অধিকন্তু জায়গার মালিককে উক্ত জায়গায় অবস্থান করলে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। তাই জায়গার মালিক আলমগীর নুর গত ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কা:বি: ১৪৫ ধারার মামলা দায়ের করেন। মিছ মামলা নাং -১৬১৫/২০১৪ ইং।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত উক্ত বিরোধীয় তফশীলের জমিতে মামলার বাদী আলমগীর নুর গং দের শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে কোন ধরনের বাধাবিগ্ন সৃষ্টি না করা সহ বিরোধীয় তফশীলের জমিতে কাঁচা পাকা ঘর, কোন প্রকার হাঙ্গামা ও গৃহ নির্মাণ না করা সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার জন্য বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন এবং এসি ল্যান্ড চাঁন্দগাও জোনকে বিরোধীয় জমির দখলীয় প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন । কিন্তু আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরেও অদৃশ্য কারণে পুলিশ দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবং শুক্রবার ও শনিবার আদালতের সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় চতুর দখলদাররা প্রায় ৪০/৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রহরায় অতি দ্রুত গতিতে প্রকাশ্যে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে যাতে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বাকলিয়া থানার সয়ং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এই সময় দখলদারদের কাজে বাঁধা দিলে জায়গার মালিক ও কেয়ারটেকারকে হাত পা কেটে কর্ণফুলি নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় দখলদাররা। উক্ত জমির কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষসহ ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্খা করছে এলাকাবাসী।