ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

এমপি বদির জামিন নামঞ্জুর

প্রকাশ: ২০১৪-১০-১৬ ১২:২৩:০১ || আপডেট: ২০১৪-১০-১৬ ১২:২৩:০১

bodi
ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্যআবদুর রহমান বদির জামিনের আবেদনের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে।
আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছ ঢাকা সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত।
১২ অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে এমপি বদিকে কারাগারে প
আদালত। পরদিন তার জামিনের আবেদন জানানো হয় ঢাকা সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) জামিনের আবেদনের শুনানি শেষে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান আদালতের বিচারক মো. জহুরুল হক।
জামিনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন নাসরিন সুলতানা ও মাহফুজুর রহমান লিখনসহ এমপি বদির জনা বিশেক আইনজীবী।বিরোধিতা করে শুনানি করেন দুদকের স্পেশাল পিপি মো. কবির হোসাইন। গত ২১ আগস্ট এমপি আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপ- পরিচালক খায়রুল হুদা ও আবদুস
সোবহান। গত ১১ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে হাইকোর্ট তাকে চার সপ্তাহের জামিন দেন। এ জামিনের মেয়াদ শেষ হলে ১২ অক্টোবর সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ হোসেনের আদালত। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা ম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তার হলফনামার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আব্দুর রহমান বদি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদ গোপন
করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যের সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখান অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। অভিযুক্তের সম্পদ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানকারী কর্ম অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি, সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রার অফিস, এনবিআর, বিআরটিএ, রাজউক, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি, রিহ্যাব, ব্যাংক- বীমাসহ অন্যান্য অফিসে অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে সম্পদের হিসাব বের করেছেন। পাশাপাশি অভিযুক্তের নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।