ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

সাইবার অপরাধরোধে বাড়াতে হবে গণসচেতনতা

প্রকাশ: ২০১৪-০৮-১৮ ১৬:৫৭:০৫ || আপডেট: ২০১৪-০৮-১৮ ১৬:৫৭:০৫

cyber-criminal_24423
সোলায়মান আহমেদ জীসান::
‘সাইবার অপরাধ’ বলতে, সাধারণত মানুষ কম্পিউটার দ্বারা খুব বড় ধরনের অপরাধকে বোঝে। আসলে ‘সাইবার অপরাধ’ বলতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে অপরাধ করা হয়, তাকেই বোঝানো হয়। সাইবার অপরাধের মাধ্যম বা টাগের্ট উভয়ই হলো কম্পিউটার। সাইবার অপরাধের মাধ্যমে প্রচুর অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হয়। সাইবার অপরাধ চুরি-ডাকাতির মতো একই ধরনের অপরাধ। ইন্টারনেট থেকে কেউ যদি পাসওয়ার্ড চুরি করে কিছু দেখে বা হ্যাক করে তা সম্পূর্ণভাবে অন্যায়। কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের তথ্য ফাঁস হলে প্রতিপক্ষ থেকে তারা বিপদে পড়তে পারে। কারও ব্যক্তিগত কোনো ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করে দিলে সে সার্বিকভাবে বিপদে পড়তে পারে। এ ছাড়া কেউ যদি দেশের জাতীয় কোনো তথ্য ফাঁস করে দেয়, তার মাধ্যমে দেশ বিপদে পড়তে পারে। বিশ্বব্যাপী এসব অপরাধের মাধ্যমে শত শত ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে।

সাইবার অ্যাটাক হওয়ার দিক থেকে পৃথিবীর ৪২তম দেশ বাংলাদেশ। এটি আমাদের দেশের জন্য একটি মারাত্দক ব্যাপার। কারণ, যখন বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গভাবে অনলাইন ব্যাংকিং চালু হবে তখন হয়তো এটি লাফিয়ে প্রথম পাঁচে চলে আসবে। ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হব আমরা। প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে যেহেতু তথ্য বা অর্থ কাগজের বদলে প্রযুক্তির মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হচ্ছে, তাই এ অপরাধের ভয়াবহতা অনেক বেশি। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সাইবার অপরাধ ও ভাইরাস অ্যাটাক নিয়ে প্রচুর সচেতনতার কার্যক্রম চললেও আমাদের দেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে। এমনকি বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ দমনের জন্য সংশিষ্ট আইনটি অনেকেরই জানা নেই। তাই সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে বাড়াতে হবে গণসচেতনতা। এর হাত থেকে বাচাঁর সহজ উপায় হলো ভালোমানের এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার। সেটা অরিজিনাল পেইড ভার্সন হতে হবে। এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এখন শুধু ভাইরাস প্রটেকশন সফটওয়্যার নয়, এটি একটি কম্পিউট প্রটেকশন সিস্টেম বটে।