ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রসঙ্গ : জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা

প্রকাশ: ২০১৪-০৮-১৭ ২৩:০২:১৮ || আপডেট: ২০১৪-০৮-১৭ ২৩:০২:১৮

ড. শেখ আবদুস সালাম
বাংলাদেশের আধুনিক পত্রপত্রিকা বা সাংবাদিকতার ইতিহাস সেই ইংরেজ আমলে ১৭৮০ সালে হিকির গেজেট বা ক্যালকাটা জেনারেল অ্যাডভাটাইজার প্রকাশনার মধ্য দিয়ে শুরু। তখন বাংলা প্রোভিন্সের শাসক ছিলেন গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস এবং বিচার বিভাগের প্রধান ছিলেন এলিজা ইম্পে। হেস্টিংস, মিসেস হেস্টিংস ও বিচারপতি ইম্পের বিরুদ্ধে লেখালেখি এবং এক পর্যায়ে কুৎসা রটনায় লিপ্ত হওয়ায় রাজরোষের কারণে পত্রিকাটি এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায়। ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে লেখালেখির কারণে পত্রপত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লর্ড ক্যানিংয়ের সময় প্রথম গ্যাগিং অ্যাক্ট ১৮৫৮ (এটির অপর নাম হচ্ছে ১৫নং আইন) প্রণীত হয়। অতঃপর ভার্নাকুলার প্রেস অ্যাক্ট (১৮৭০), নিউজ পেপার (ইনসাইটমেন্ট টু ওফেন্স) অ্যাক্ট (১৯০৮), ভারতীয় দণ্ডবিধি (ধারা ১২৪ক ও ১৫৩ক), সংবাদপত্র (জরুরি ক্ষমতা) আইন (১৯৩১), রাষ্ট্র (রক্ষা) আইন-১৯৩৪ ইত্যাদি বহু আইন-কানুন এবং বিধিনিষেধ তৈরি হয় ব্রিটিশ আমলজুড়ে। আর এগুলো দিয়ে তখন নিয়ন্ত্রিত হতো পত্রপত্রিকা তথা মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টি।

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পাকিস্তান আমলেও পত্রপত্রিকা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি। ১৯৫৮ সালে মার্শাল ল’ প্রবর্তনের পর থেকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ পর্যন্ত পত্রিকাগুলোকে মূলত সামরিক আইনের বিধিনিষেধের মধ্যে থেকে চলতে হয়েছে। ব্রিটিশ আমল থেকে এদেশে রেডিওর প্রচলন থাকলেও ১৯৬৫ সালে চালু হয় পাকিস্তান টেলিভিশন এবং এগুলো ছিল সরকারি মালিকানায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে রেডিও এবং টেলিভিশন সম্প্রচার উভয়ই স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সরকারি মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় ন্যস্ত হয়ে যায়। ইলেকট্রনিক এ মাধ্যম দুটি স্বাধীন বাংলাদেশেও কখনো স্বাধীন গণমাধ্যম হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি। জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণের পর ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং অথরিটি। এটির প্রধান হন একজন তথ্য কর্মী, সাংবাদিক এবং কবি সাইফুল হক। ‘অথরিটি’ শব্দটির মধ্য দিয়ে সম্প্রচার মাধ্যম দুটির ওপর তাদের অথরিটির বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে তারা তখন মোটেও কৃপণতা করেননি। এ সময়ে তারা একটি সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করেন বটে কিন্তু একদিকে সেটি যেমন ছিল প্রতিনিধিত্বহীন একটি গোষ্ঠী কর্তৃক প্রণীত এবং তা কোনো দিন সেভাবে আর বাস্তব প্রয়োগ তথা আলোর মুখ দেখতে পারেনি।

মূলত ১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের পর এদেশের গণমাধ্যম এক নতুন চরিত্র নিয়ে গড়ে উঠতে শুরু করে। তখন থেকেই বহু নিয়ন্ত্রণমূলক আইন-কানুন বাতিল করা শুরু হয়। বিশ্ব বাস্তবতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমও গণতন্ত্রের এক পরিপোষক হিসেবে দাঁড় হতে থাকে এবং সেভাবে তার বিকাশ ঘটতে শুরু করে। ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখলেও ব্যক্তিমালিকানায় নতুন চ্যানেল প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। বর্তমান সময়ে বেতার এবং টেলিভিশনের জন্য এ সুযোগ আরও বিস্তৃত অনেকটা অবারিত। বর্তমানে এদেশে ব্যক্তিমালিকানায় প্রায় ডজন দুয়েক টিভি চ্যানেল, ৪-৫টি এফএম রেডিও এবং বেশ কয়েকটি কম্যুনিটি রেডিও চালু রয়েছে। এসব গণমাধ্যম কম-বেশি এখন মত প্রকাশের ক্ষেত্রে মুক্ত এবং স্বাধীন চরিত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে গেছে।

বাংলাদেশের প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক উভয় প্রকার গণমাধ্যম দৃশ্যমান ও গুণগত সবদিক থেকে এগিয়ে চলেছে। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ ও স্বাধীনতাকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভূমিকা সর্বজনবিদিত। মানুষ যখন কোনো কারণে কখনো কখনো এদেশে আইন-বিচার-প্রশাসন-পুলিশ-সালিশ কোথাও কোনো আশ্রয় পায় না তখন তারা ছুটে আসে গণমাধ্যমের কাছে; সাক্ষাৎকার দিয়ে, প্রেস কনফারেন্স করে নালিশ জানিয়ে আশ্রয় খোঁজে গণমাধ্যমের কাছে।

যে কোনো সেক্টরে যখন বিকাশ ঘটতে থাকে বা অগ্রসরমান হতে থাকে বিশেষ করে সেটি যখন লাভ কিংবা ক্ষমতার উৎস হয়ে উঠতে থাকে তখন সেখানে বহু রকম অপশক্তিরও আনাগোনা ঘটে। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের অ্যাবিউজ এবং মিস ইউজও আমরা কম হতে দেখিনি। কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘ঘটনা এক-খবর অন্য’ এই শিরোনামে আমার একটি প্রবন্ধে এ ব্যাপারে খানিকটা আলোকপাত করেছিলাম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রেস কাউন্সিলের মামলার বিষয়বস্তু এবং রায়গুলোতে চোখ বুলালে বিষয়টি আরও খানিকটা পরিষ্কার হবে।

বলা বাহুল্য, শক্তিমান এবং দায়িত্বশীল গণমাধ্যম গড়ে তোলার জন্য এর পেছনের মানুষগুলোকেও তেমনটিই হতে হয়। আর সমাজ এবং সাধারণ নাগরিকের জন্যও কিছু আইনি প্রটেকশন প্রয়োজন। ধনী-গরিব নির্বিশেষে পৃথিবীর সব দেশেই গণমাধ্যম পরিচালনার যেমন আইন-কানুন রয়েছে তেমনি আবার গণমাধ্যম পরিচালিত হওয়ার জন্য কিছু নীতিমালা অর্থাৎ code of ethics ও চালু রয়েছে। বাংলাদেশে সংবাদপত্রের ক্ষেত্রে প্রেস কাউন্সিল প্রণীত এরূপ ২৩টি অনুশাসন বা ধারা সমন্বয়ে একটি কোড অব ইথিকস বিদ্যমান আছে।

বোধকরি একদিকে সম্প্রচার গণমাধ্যমের ক্রমপ্রসারমানতা, বিভিন্ন সময়ে তথ্য উপস্থাপনে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব, বাংলাদেশের মুক্তিযু্দ্ধ সম্পর্কে ধোয়াশা তৈরি, নিয়োজিত সংবাদকর্মীদের পেশাদারিত্বের ঘাটতি, চাকরির ঝুঁকি ও নিরাপত্তা, মালিকানা ও নীতিনির্ণায়ক দুর্বলতা ইত্যাদি কারণে খোদ সংবাদকর্মী এবং সুশীল সমাজের মধ্য থেকেই বাংলাদেশের জন্য একটি জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়নের দাবি উঠে। আর সে কারণেই ক্ষমতাসীন সরকার বেশ কয়েক বছর আগ থেকেই এ উদ্যোগটি গ্রহণ করে- গঠন করা হয় এ সংক্রান্ত একটি কমিটি যেখানে সাংবাদিক, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, সরকারি আমলা, সাংবাদিকতার শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ একত্রিত হয়ে অনেকগুলো মিটিং-সিটিংয়ে মিলিত হয়ে সম্প্রচার নীতিমালার একটি রূপরেখা প্রণয়ন করে তা সরকারের হাতে তুলে দেয়। পত্রপত্রিকায় দেখেছি এই রূপরেখা প্রণয়নের একজন অংশী ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেছেন তারা সদস্য হিসেবে যেসব বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছিলেন চূড়ান্ত খসড়ায় তা রাখা হয়নি। তিনি অতিদ্রুত একটি সম্প্রচার কমিশন গঠন করার কথা বলেছেন এবং ওই কমিশন চূড়ান্ত নীতিমালা তৈরি করবে বলে মত দিয়েছেন। অন্য একজন সদস্য টিভি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাইখ সিরাজও ওই একই কথা বলেছেন। তার মতে এই কমিশন একটি রেগুলেটরি বডি হিসেবেও কাজ করবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশের অন্যতম একটি বড় দল বিএনপি এবং এই কমিটিতে ছিলেন না এমন দু-একজন বিএনপি সমর্থক সাংবাদিক নেতা এটিকে এক ধরনের কালাকানুন এবং গণতন্ত্র ও স্বাধীন গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরার অপচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন। সম্প্রচার নীতিমালার কপিও কেউ কেউ পুড়িয়ে দিয়েছেন। তবে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য তারাও একটি কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন (বাংলাদেশ প্রতিদিন : ৫-৮-২০১৪)। গত কয়েক দিনের লেখালেখি-আলোচনা-পর্যালোচনা থেকে এতটুকু অনুমান করা যায় যে সবাই চান একটা সম্প্রচার নীতিমালা প্রণীত হোক, একটি জাতীয় সম্প্রচার কমিশন গঠন করা হোক এবং প্রয়োজনে এই কমিশনই নীতিমালা প্রণয়নের কাজটি করুক। আমার বিবেচনায় উপর্যুক্ত আকাঙ্ক্ষাগুলোতে একমত পোষণ করতে ডান-বাম- মধ্যম কোনো মতের কোনো মানুষেরই তেমন কোনো আপত্তি নেই। আপত্তির জায়গাটা হয়ে উঠবে এই কমিশনে কারা থাকবেন বা কারা নেতৃত্ব দেবেন তা’ নিয়ে; নীতিমালা প্রণয়ন করতে গিয়ে নীতিমালাতে তারা যত নিরপেক্ষ শব্দই ব্যবহার করুন না কেন তা নিয়ে। সম্প্রচার নীতিমালাটি মন্ত্রিপরিষদে পাস হওয়ার পরে নীতিমালায় ব্যবহৃত কিছু শব্দ এবং বাক্যাংশে সশস্ত্র বাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা সাম্প্রদায়িকতা বা বন্ধু রাষ্ট্রের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ায়, অসত্য বা বিভ্রান্তিকর উপস্থাপন করা হয় এমন ক্ষেত্রে তা প্রচারে নিষেধজ্ঞার কথা উল্লেখ রয়েছে। পাঠকগণ লক্ষ্য করুন, আমাদের সংবিধানে ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশনের ক্ষেত্রে নিম্নের কথাগুলো উল্লেখ রয়েছে। এ ব্যাপারে কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ‘টকশো’তে সম্প্রচার নীতিমালার কিছু কিছু শব্দ নিয়ে সন্দেহ করার বিষয়টি আলোচকদের মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে। ট্রান্সফারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর পরিচালক বলেছেন এই নীতিমালা আর টি আই আইনের প্রয়োগে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। পাঠকগণ লক্ষ্য করুন, আমাদের শাসনতন্ত্রের পার্ট-৩ এ ৩৯ অনুচ্ছেদের (১) ধারায় Freedom of thought and Conscience and of Speech’র গ্যারান্টি প্রদান করা হয়েছে। তবে সেখানেও ধারা-২ এ বলা আছে Subject to any reasonable restrictions imposed by law in the interests of the security of the State, Friendly relations with foreign states, Public order, decency or morality, or in relation to contempt of court, defamation or incitement of offence. আমাদের রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের প্রায় এসব শব্দের (বা কাছাকাছি) প্রয়োগ রয়েছে। কোনো নীতিমালা করতে গেলে এসব শব্দের বাইরে আর কী শব্দ ব্যবহার করে মনিটারিং টুলস নিশ্চিত করা যেতে পারে তা অন্তত আমার জানা নেই। reasonable restriction, malice, বিদ্বেষ, অসত্য, প্রচারের মানদণ্ড নির্ধারক তদারকিমূলক কোনো শব্দে গন্ধ খোঁজা যেমন আমাদের একটি রোগ, তেমনি এসব শব্দকে ব্যবহার করে এর প্রয়োগকে গন্ধময় করে তোলাও আমাদের অভ্যাসে রয়ে গেছে। এই ‘গন্ধ খোঁজা’ এবং ‘গন্ধময় করা’ এরূপ উভয় অবস্থা থেকেই আমাদের বেরিয়ে এসে যা-ই করি না কেন তা খোলা মন নিয়ে করতে হবে এবং কাউকে না কাউকে উদ্যোগী হয়ে সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়নের কাজটি করতে হবে। বর্তমান সরকার হয়তো সেই কাজটিই করেছে।

প্রথমে এদেশে এ ব্যাপারে একটি নীতিমালা রচিত হোক। আমরা এর প্রয়োগ অপ্রয়োগের দিকগুলো দেখে ভবিষ্যতেও এটিকে প্রয়োজনে অধিকতর পরিশুদ্ধ ও পরিপুষ্ট করতে পারব। এ ব্যাপারে একটি বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। সেটি হচ্ছে আলাদা একটি সম্প্রচার কমিশন না করে প্রয়োজনবোধে প্রেস কাউন্সিলকে রি-অর্গানাইজ করে সব ধরনের গণমাধ্যমের জন্য একটি গণমাধ্যম কমিশন গঠন করা যায় কিনা? তবে সম্প্রচার কমিশন বা গণমাধ্যম কমিশন যেটিই হোক সেই কমিশনকে হতে হবে কার্যকর, গতিশীল এবং প্রতিনিধিত্বশীল। এই কমিশন যেন কেবলই একটি নিয়ন্ত্রণমূলক প্রতিষ্ঠান বা রেগুলেটরি বডি না হয়। আবার এটি যেন সরকার বা অন্য কোনো গোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কোনো প্রতিষ্ঠানও না হয়। মোট কথা এটি যেন কেবলই একটি ‘কমিশন ফর দ্য সেক অব এ কমিশন’ না হয়। প্রেস কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের ভাষায় এটি যেন প্রেস কাউন্সিলের ন্যায় ‘দন্তহীন একটি বাঘ’ও না হয়। আসলে এগুলোও নিশ্চিত করা সহজ কাজ নয়। সব কিছু নির্ভর করবে কমিশনে যারা থাকবেন তাদের বিচার-বুদ্ধি , অভিপ্রায় এবং সৎ, স্বাধীন, সার্বজনীন চিন্তা ও তা প্রয়োগের ওপর।

লেখক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক
ই-মেইল :[email protected]