ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

গুগল ধরিয়ে দিলো পর্নে জড়িত শিশু অপরাধীকে

প্রকাশ: ২০১৪-০৮-০৬ ১১:৫১:১৯ || আপডেট: ২০১৪-০৮-০৬ ১১:৫১:১৯

গুগলের জিমেইলের মাধ্যমে ধরা খেলো এক শিশু পর্নে জড়িত অপরাধী। আর একে খুঁজে বের করতে পারলো গুগল সার্চ। গত সপ্তাহে ৪১ বছর বয়সী ওই টেক্সান অপরাধীকে পুলিশ শিশু যৌন নিপীড়নে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রীসহ গ্রেপ্তার করে। ওই ব্যক্তি তার ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে নানা তথ্য আদান-প্রদান করে তার অপরাধকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল। শিশু যৌন নিগ্রহ-সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড বা অপরাধ বলে সন্দেহ হয় এমন তথ্য বা ছবি শনাক্ত করতে পারে গুগল। আমেরিকার ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লোইটেড চিলড্রেন (এনসিএমইসি) শিশু যৌন অপরাধসংক্রান্ত বিষয়ে গুগলে সার্চ দেয়। এতে উঠে আসে ওই অপরাধীর ই-মেইলের নানা ভাষা। তারই সূত্র ধরে ধরা খায় জন হাস্টন নামে এক অপরাধী।
জন হাস্টন কাজ করতেন বেশ বুঝেশুনে। তিনি তার সকল কাজ মুছে ফেলতেন। জন পুলিশের তালিকাভুক্ত অপরাধী। তাকে ধরার বেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল গোয়েন্দ সংস্থা। ডিটেকটিভ ডেভিড নেটলস স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি নিজেও বহু চেষ্টা করেও তার কাজের বিষয়ে তথ্য পাচ্ছিলাম না। কিন্তু গুগল এসব তথ্য দেখতে পেয়েছে।
তবে এ বিষয়ে গুগলের বক্তব্য হলো, আমরা কারো ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের তথ্য নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করি না। তবে গার্ডিয়ান মনে করে, ২০০৮ সালে গুগল তাদের সার্চ ইঞ্জিন থেকে শিশু যৌন-সংক্রান্ত নানা উপকরণ বন্ধ করে দেয়। ওই অপরাধীকে পাওয়া গেলো তেমনই পদ্ধতির ব্যবহার করে।
বিভিন্ন শিশুকে এসব কাজে ব্যবহার করে অনেকভাবেই অনলাইনে ব্যবসা চালিয়ে যায় অপরাধীরা। বিভিন্ন ছবি ও সংশ্লিষ্ট নানা তথ্য নিয়ে ওই শিশুদের বা অপরাধীর পরিচয় বের করা বা আন্দাজ করার একটি প্রযুক্তি রয়েছে গুগলের যাকে বলা হয় হ্যাশ টেকনোলজি। এসব তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে সন্দেহজনক বা তালিকাভুক্ত অপরাধের তথ্যের মিল থাকলে তা চলে যায় এনসিএমইসি-এর কাছে।
২০১৩ সালে গুগল প্রধানমন্ত্রীর চাপে এই প্রযুক্তির উন্নতি করতে বাধ্য হয়। এনসিএমইসি এর চিফ লিগাল অফিসার ডেভিড ড্রুমন্ড জানান, সম্প্রতি আমরা আমাদের ডেটাবেইসের সঙ্গে এসব সার্চ রেজাল্ট মেলাতে কাজ করছি। গুগল তথ্য ছড়িয়ে দিতেই কাজ করছে। তথ্য পাওয়ার অধিকার সবারই রয়েছে। কিন্তু শিশুদের যৌন নিগ্রহ বিষয়ের ছবি বা তথ্য প্রকাশকে সমর্থন করা যায় না।
তবে গুগলই শুধু শিশু যৌন অপরাধসংক্রান্ত তথ্য বা ছবি খুঁজে বের করে না। এর আগেও এ বিষয়ক ই-মেইল চালাচালিতে ধরা খান এওএল ই-মেইলের মাধ্যমে।
তাই শিশুদের অনৈতিক কাজে ব্যবহার করার ছবি বা তথ্য না প্রকাশ করে এসবের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে প্রযুক্তির প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন সবাই। এর ব্যবহার দ্বারা এনসিএমইসি বা আইডব্লিউএফ-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এসব অপরাধীদের দমন করতে পারে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান