ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

নাটোরে ট্রেনের টিকিট কাটা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশ: ২০১৪-০৮-০১ ১৬:২৭:৩০ || আপডেট: ২০১৪-০৮-০১ ১৬:২৯:৩১

34494_natore
নাটোর প্রতিনিধি ::
নাটোরের লালপুরের ঈশ্বরদী রেলওয়ে বাইপাস এলাকার নতুন রেলস্টেশনে টিকিট কালোবাজারী, গ্রামবাসী ও রেলওয়ে পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৩ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। নিহতরা হলেন লালপুর উপজেলার ডহরশৈলা গ্রামের আকবর আলীর ছেলে জুম্মত আলী (২৬) এবং একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জীবন (২২) ও মোতালেবের ছেলে রানা (২৫)। আহতদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকাল ৯টা দিকে লালপুরের পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরদী রেলওয়ে বাইপাসের লোকোশেড এলাকার নতুন রেল স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের সামনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটা নিয়ে স্থানীয় ডহরশৈলা গ্রামের চা বিক্রেতা মোতালেব হোসেনের সঙ্গে ঈশ্বরদী রেলওয়ে বাইপাস লোকশেড এলাকার আব্দুর রাজ্জাক ও হাফিজুল ইসলামদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ সময় লোকোশেডের আব্দুর রাজ্জাক আহত হন। এ খবর পেয়ে সোয়া নয়টার সময় রাজ্জাক সমর্থকরা চাইনিজ কুড়াল ও লাঠিসোটা নিয়ে স্টেশন এলাকায় এসে স্থানীয় ডহরশৈলার লোকজনদের ওপর হামলা চালালে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। মুহুর্তে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল, গুলি চালালে তা ত্রিমুখী সংঘর্ষে রুপ নেয়। এ সময় অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়। আহতদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় মৌমাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জীবন হোসেন (২৮)। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক একই গ্রামের মোতালেব হোসেনের পুত্র রানা হোসেন (২৫) কে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া নিহত রানার মামা জুলমত হোসেন (২৬) কে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় রাস্তায় তিনিও মারা যান।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ সহকারি কমিউনিটি চিকিৎসক মোমিন উদ্দিন বলেন, নিহতদের একজনকে হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গে মারা যান। অন্যজন চিকিৎসা চলা অবস্থায় মারা যায়। ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে মাথা ফেটে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে। পুলিশ ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলেও এখনও থেমে থেমে কয়েক দফা উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নাটোরের পুলিশ সুপার বাসুদেব বনিক নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে।