ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

উখিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও শোক দিবস পালিত

প্রকাশ: ২০২২-০৮-১৫ ২১:৪০:১৩ || আপডেট: ২০২২-০৮-১৫ ২১:৪০:১৩

 

শহীদুল ইসলাম::
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে দিন ব্যাপী খতমে কোরআন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, শোক র‍্যালী, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া গণভোজের আয়োজন করা হয়।

সোমবার ১৫ আগষ্ট সকালে উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী প্রকাশ রাজা শাহ আলম।

বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম ইউনুস বাঙালী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কবি আদিল উদ্দিন চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আবুল মনছুর চৌধুরী,উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রম-বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজুল হক রিয়াজ, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল আলম কন্ট্রাক্টর,রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালা উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এটিএম রশিদ, উপজেলা যুবরীগের সভাপতি মুজিবুল হক আজাদ, সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, শ্রমিক লীগের সভাপতি সরোয়ার কামাল পাশা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপন শর্মা রনি, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নুর মোহাম্মদ শেখর, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি মকবুল হোছাইন মিথুন প্রমুখ।

এসময় বক্তরা বলেন আজ বেদনাবিধুর ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী। বাংলার ইতিহাসের কলঙ্কিত দিন। বাংলার আকাশ-বাতাস আর প্রকৃতিও অশ্রুসিক্ত হওয়ার দিন। বাঙালির কান্নার দিন। ধন্য পুরুষ স্বাধীন বাংলার স্থপতি, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি ১৯৭৫ সালের এই দিনে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িতে, বাঙালির ইতিহাস তীর্থে নির্মমভাবে শহিদ হন। বৃষ্টিঝরা শ্রাবণের অন্তিম সেই দিনে বৃষ্টি নয়, ঝরেছিল রক্ত। বাংলার ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের মতো বিশাল তার বুক থেকে রক্তগোলাপের মতো লাল রক্ত ঝরেছিল ঘাতকের বুলেটে। পঁচাত্তরের এই দিনে একাকার হয়েছিল জাতির পিতার রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রুর প্লাবনে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে ঘাতকরা সেদিন মুছে দিতে চেয়েছিল রক্তের চিহ্নসহ জাতির পিতার লাশ। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অবিনশ্বর চেতনা ও আদর্শ ছিল মৃত্যুঞ্জয়ী। ঘাতকের সাধ্য ছিল না ইতিহাসের সেই মহানায়কের অস্তিত্বকে বিনাশ করার। ভয়ার্ত বাংলায় ছিল ঘরে ঘরে চাপা দীর্ঘশ্বাস। সেই শোক আজও জেগে আছে রক্তরাঙা ওই পতাকায়, সেই শোক অনির্বাণ এখনো বাংলায়। রক্তভেজা সেই সিঁড়ি হাহাকার সৃষ্টি করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাঋদ্ধ বাঙালির হৃদয়ে। যে কান্না কখনো শেষ হওয়ার নয়।

এর আগে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা, কালো ব্যাচ ধারন করা হয়।

পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রত্নাপালং ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হুদা।