ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

মহেশখালীতে দেবরের লাঠির আঘাতে ভাবি খুন

প্রকাশ: ২০২২-০৮-১৪ ১৯:৩১:৫২ || আপডেট: ২০২২-০৮-১৪ ১৯:৩১:৫২

 

মহেশখালী ::

কক্সবাজারের মহেশখালীতে বাড়িভিটার জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারামারির ঘটনায় দেবরের লাঠির আঘাতে মারা গেছে বৃদ্ধা ভাবি। কুপিয়ে আহত করেছে নিহতের আরো দুই ছেলেকে।

ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ আগস্ট (রবিবার) ভোররাত ১টায় উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের বড়ছড়া গ্রামে। নিহতের নাম কিরঙ্গ বালা ঘোষ প্রকাশ কিংকেশ্বরি ঘোষ (৬৫)। তিনি উক্ত গ্রামের মৃত রতন ঘোষের স্ত্রী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের ছেলে সনজিত ঘোষ (৪৫) ও সুমন ঘোষ (৩২)।

নিহত কিরঙ্গ বালা ঘোষ প্রকাশ কিংকেশ্বরী ঘোষ এর ছেলে সন্তোষ ঘোষ জানান, তাদের পৈত্রিক বাড়ি-ভিটার জায়গা জমি নিয়ে চাচা বিভীষণ ঘোষ ও অখিল ঘোষের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গতকাল ১৪ আগস্ট রবিবার ভোররাত ১টায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার ভাই সঞ্জীব ঘোষ ও সুমন ঘোষ কে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় আমার মা কিরঙ্গ বালা ঘোষ প্রকাশ কিংকেশ্বরি ঘোষ ছেলেদের রক্ষা করতে আসলে থাকেও লাঠি ও লোহার রোড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। নিহতের অপর ছেলে আহত সনজিত ঘোষ মুঠোফোনে জানান, অখিল ঘোষ, অপু ঘোষ, জুয়েল ঘোষ সহ ৭/৮ জন গভীর রাতে তার বাড়িতে হামলা চালায়।

এসময় ঘরে ডুকে তাকে কুপিয়ে এবং তার মা কিংকেশ্বরী ঘোষকে কিল, লাথি, ঘুষি মেরে ও লাঠির আঘাতে আহত করে তারা। পরে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্তৃব্যরত ডাক্তার তার মাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ১৪ আগস্ট দিবাগত রাত দেড়টায় মৃত অবস্থায় কিংকেশ্বরী ঘোষকে হাসপাতালে আনা হয়। এসময় তার পুত্র সনজিত ঘোষক ও সুমন ঘোষকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসে। সনজিতের মাথায় ও বাম হাতের আঙ্গুলে কাটা জখম রয়েছে। তার অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এই ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আশেক ইলাহী জানান, উভয়পক্ষ পরষ্পর আত্মীয়। জমির বিরোধের সূত্র ধরে মারামারির ঘটনা ঘটে। সেখানে ছেলেদের উদ্ধার করতে গিয়ে লাঠির আঘাতে বৃদ্ধা অজ্ঞান হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘাতকদের পরিবারের সকলেই পলাতক রয়েছে।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রনব চৌধুরী জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এখনো এজাহার জমা দেয়নি স্বজনরা। এজাহার পেলে আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।