ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

খাবার সংকটে- সেন্টমার্টিন

প্রকাশ: ২০২২-০৮-১১ ২০:০৯:৫১ || আপডেট: ২০২২-০৮-১১ ২০:০৯:৫১

 

আব্দুল মালেক::
বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত আট-দিন ধরে সেন্টমার্টিন – টেকনাফ ও টেকনাফ – সেন্টমার্টিন নৌপথে সব ধরণের ট্রলার চলাচল বন্ধ রেখেছে।

বৈরি আবহাওয়া থাকায় সেন্টমার্টিনের অভ্যন্তরীণ নৌপথে ফিশিং বোট চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে চাল, ডাল, আলুসহ প্রায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চরম অভাব দেখা দিয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপে।

সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ – সেন্টমার্টিন নৌপথে যান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় উপজেলা প্রশাসন।

৩নং সতর্ক সংকেত বলবৎ থাকায় প্রায় আটদিন সেন্টমার্টিনে সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দ্বীপবাসী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চরম অভাবে আছেন বলে জানান জাহাঙ্গীর।

সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান খান তার পেইজবুক টাইম লাইনে দ্বীপবাসীর জন্য একটি সীট্রাক চেয়ে কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সেন্টমার্টিন দোকান মালিক সমবায় সমিতির সহসভাপতি আব্দুর রহিম জিহাদী বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বৈরি আবহাওয়ার কারণে টেকনাফের সাথে যোগাযোগ বন্ধ থাকলে দ্বীপের ১০ হাজার স্থানীয় বাসিন্দাদের খাবার সংকট দেখা দেয়। এই সংকট নিরসনের জন্য দ্বীপে সরকারিভাবে একটি খাদ্য গুদামের কোনো বিকল্প নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ( ভারপ্রাপ্ত) এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় বিপদ সংকেত বলবৎ রয়েছে। তাই গত এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে সেন্টমার্টিনের সাথে সকল ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাবে রয়েছে!

এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষের চাহিদার প্রায় নাইন্টি পার্সেন জিনিসপত্র টেকনাফ থেকে আমদানি করে জীবিকা নির্বাহ করে। দীর্ঘসময় নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাবনীয় অভাবের সম্মুখীনে পড়েছে দ্বীপের মানুষ। এ বিষয়ে উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মুজিব বলেন, আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় গত আটদিন ধরে সেন্টমার্টিন – টেকনাফ নৌপথে সকল ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিপদ সংকেত থাকায় অভ্যন্তরীণ ফিশিং বোটও মাছ ধরতে পারছেনা।

ফলে, দ্বীপবাসী চরম খাদ্য সংকটে ভুগছেন। তিনি বলেন, দ্বীপে চাহিদার প্রায় ৯০ ভাগ খাদ্যশস্য টেকনাফ থেকে আমদানি করতে হয়।

দীর্ঘদিন পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকায় আলু, ডিম, ফার্ম মুরগী, কাঁচা বাজার সহ প্রায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চরম অভাব দেখা দিয়েছে।