ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

সৃষ্টির ইতিহাস বিকৃত নয়, গুণীদের কদর করুন

প্রকাশ: ২০২২-০৫-১৩ ০৮:৩৬:১০ || আপডেট: ২০২২-০৫-১৩ ১২:৫৬:১১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

“ভালুকিয়াপালং উচ্চ বিদ্যালয়” নব-নির্মিত তোরণে প্রতিষ্ঠাতা যোগেন্দ্র লাল সিকদার এর নাম উল্লেখ করা হয়নি। এটা সৃষ্টির ইতিহাস বিকৃত করার পায়তারা এমনটি দাবী করছে স্বজনরা। এনিয়ে বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রশ্ন তুলেছে বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা নিয়ে।

প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের অনেকে বলছে, যে দেশে গুণীদের কদর নেই, সে দেশে গুণীজন জন্মায় না।

জানা গেছে, ১৯৭৩ সালে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ভালুকিয়া পালং গ্রামে পৈতৃকসম্পত্তির উপর এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন যোগেন্দ্র লাল সিকদার।

১৯১০ সালে ভালুকিয়া পালং গ্রামে প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্টা করেন তাঁর পিতা কালাচাঁদ সিকদার।

একই ভাবে ১৯৭৪ সালে তাহার সর্ব কনিষ্ট পুত্র সর্বানন্দ সিকদার প্রতিষ্ঠা করেন আমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

পাশাপাশি গ্রামের গরীব-দুঃখী-দুস্থ অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবায় প্রতিষ্ঠা করেন আমতলী হাসপাতাল যার বর্তমান নাম ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

ওই বংশের এই প্রজন্মের যীশু সিকদার, বড়ুয়া নোবেল সিকদার, প্রভাত বড়ুয়াসহ অনেকে বলেছেন, এমন প্রতিহিংসামূলক আচরণ কখনো কাম্য নয়। এই দেশেই আমাদের জন্ম। এই দেশ আমার, আপনার, সবার। আমাদের শুধু একটাই পরিচয় আমরা সবাই বাঙালি। আমরা সবাই মানুষ। সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। মানুষ বয়সে নয়, বেঁচে থাকে তার কর্মে।

তেমনি এই মহান ব্যক্তি যোগেন্দ্র লাল সিকদার ভালুকিয়াবাসীর অন্তরে বেঁচে থাকবেন চিরকাল।

তোরণসহ যথাস্থানে প্রতিষ্ঠাতার নাম উল্লেখ করে সুস্থ ধারার ইতিহাস ধরে রাখতে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতায় যথেষ্ট বলে মনে করেন সুশীল সমাজ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভালুকিয়াপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মো: লিয়াকত আলী বলেন, প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে যোগেন্দ্র লাল সিকদারকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যথাযথ ভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে। নতুন এই তোরণটি জেলা পরিষদ বাস্তবায়ন করেছে। সেখানে আমার কোন হম্তক্ষেপ ছিল না। তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কিছু বলছে না। বাহিরের কিছু মানুষ এটা নিয়ে অতিরঞ্জিত করছে।