শহিদুল ইসলাম ::
কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্ত এলাকায় পৃথক অভিযানে ১ কেজি ৬৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র (এলজি), ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ সহ একজনকে গ্রেফতার করেছে (বিজিবি)।
আটককৃত হলেন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মোঃ দীল মোহাম্মদ (৫৭)।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো.মহিউদ্দীন আহমেদ(বিজিবিএমএস)এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে,টেকনাফের হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১১ হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার উত্তর দিক থেকে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে একটি ইয়াবার চালান পাচার হতে পারে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদর ও হ্নীলা বিওপির একটি বিশেষ টহলদল হ্নীলা এলাকার আনোয়ার প্রজেক্ট এলাকায় অবস্থান নেয়।তখন বিজিবির টহলদল দেখতে পায় ৪-৫ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তি আনোয়ারের প্রজেক্ট অতিক্রম করে রঙ্গিখালী পাহাড়ের দিকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবির টহলদল ধাওয়া করে একজনকে গ্রেফতার করলেও বাকিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে গ্রেফতার ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করে তার কোমড়ে পরিহিত লুঙ্গীর ভাঁজে ১টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র (এলজি), ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং হাতে থাকা ব্যাগের ভিতর থেকে ১কেজি ৬৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান,গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের করা হয়েছে।
অপরদিকে,মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান জানান,সোমবার দিবাগত রাতে ইয়াবার একটি চালান মিয়ানমার হতে টেকনাফের মুন্ডার ডেইল ঘাট হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।
এমন সংবাদ পেয়ে রাত দেড়টার দিকে মুন্ডার ডেইল ঘাটে একটি ফিশিং বোট থেকে সন্দেহজনক ৪ জন ব্যক্তিকে থামার সংকেত দিলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন কোস্টগার্ড সদস্যরা ধাওয়া করে ৪জনকে গ্রেফতার করেন।
আটককৃতরা হলেন- মো. সলিম (৪০), মো. ইয়াছিন (৩৬), হামিদ হোসেন (৪৫), আব্দুর রহমান (৩০) তারা মিয়ানমারের নাগরিক বলে জানা গেছে।এসময় তাদের তল্লাশী করে ২৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান,জব্দকৃত ইয়াবা ও গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে তিনি জানায়।
পাঠকের মতামত