শহিদুল ইসলাম উখিয়া:;
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহৃত
৪ বছরের রোহিঙ্গা শিশুটিকে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ৩দিন পর টেকনাফের গহীন পাহাড় থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।
উদ্ধারকৃত শিশু-উখিয়ার জামতলি ক্যাম্প-১৬ এর আবু জাফরের ছেলে মো. রায়হান (৪)।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-টেকনাফ নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের ব্লক/সি এর দিল মোহাম্মদের ছেলে আমির ফয়সাল (২১) ও তার বোন আসমিদা রোকসানা (২০) একই ক্যাম্পের মো. আমিনের ছেলে সাদেক হোসেন (২৩)।
শনিবার(২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে টেকনাফের মুচনি রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্প সংলগ্ন গহীন পাহাড় থেকে অপহৃত শিশুটি কে উদ্ধার করা হয়।
উখিয়া-টেকনাফের (সার্কেল)অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি জানান,গত বুধবার বেলা ১১ টার দিকে ৪ বছরের রোহিঙ্গা শিশু মো. রায়হানকে ২০ টাকার নাস্তা কিনে দেওয়ার কথা বলে লোভ দেখিয়ে সাদেক ও ফয়সাল তাকে অপহরণ করে টেকনাফের মোচনী রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্প সংলগ্ন গহীন পাহাড়ে আটক রাখেন।আটকের পর তার পরিবারে কাছ থেকে ২ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন।এবং শিশুটির উপর চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন।নির্যাতনের ঘটনাটি তারা পরিবারের কাছে জানায়।এবং মুক্তিপনের টাকা না দিলে শিশুটি কে হত্যা হুমকি দিয়ে আসছেন।
তিনি আরো জানান,অপহৃত শিশুটির মা-বাবা তাকে অপহরণকারীদের কবল থেকে মুক্ত করতে মানুষের দ্বারে দ্বারে টাকা তুলতে থাকেন।এবং তারা ৪৫ হাজার ৭০০ টাকা পর্যন্ত জোগাড় করতে পারেন।এ ঘটনাটি আমাদের নজরে আসলে তাকে উদ্ধারে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা প্রথমে মুল পরিকল্পনাকারী সাদেক ও ফয়সালকে জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারের পর তাদের দেখানো মতে টেকনাফের মুচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন অপহরণকারীর আরেক মহিলা সদস্য আসমিদা রোকসানার হেফাজত থেকে শনিবার ২ সেপ্টেম্বর রাতে গহীন পাহাড় থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন,উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহৃত ৪ বছরের রোহিঙ্গা শিশুটিকে আমরা ব্যাপক অভিযানের মাধ্যমে ৩দিন পর টেকনাফের মুচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন গহীন পাহাড় থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় অপহরণকারী একজন মহিলা সদস্য সহ তিনজন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।এবং তাদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের পর আজ রবিবার কক্সবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে ওসি জানায়।
পাঠকের মতামত