চলতি বছরে এ পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া ভাইরাসটির ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের ৬৪টি জেলা।
রোববার (৫’ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
সংস্থাটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, নিপাহ ভাইরাসের সার্ভিলেন্সে জোর দেওয়া হয়েছে। দেশের কোথাও কেউ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে খবর পাচ্ছি। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত ৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
তিনি বলেন, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত কেউ বেঁচে গেলেও তার শরীরে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। খেজুরের রস খাওয়া বন্ধের মাধ্যমে ভাইরাসটি থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকা যায়।
খেজুরের রসে শুধু বাদুড় মুখ দিলেই নয়, বাদুড়ের ইউরিন থেকেও নিপাহ ভাইরাস ছড়াতে পারে বলেও জানান এই চিকিৎসক।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শেখ দাউদ আদনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ জন্য মহাখালীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ১০ বেডের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) প্রস্তুত রাখতে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে, গত ৩০’জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শেখ দাউদ আদনান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের জন্য ছয়টি নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো—
. রোগী দেখার সময় আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরতে হবে।
. রোগী দেখার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
. জ্বরের উপসর্গ থাকলে রোগীকে অবশ্যই আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখতে হবে।
. জ্বরে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে অজ্ঞান অবস্থা দেখা দিলে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখতে হবে।
. আইসিইউতে থাকাকালে রোগীর পরিচর্যাকারীরা শুধু গ্লাভস ও মাস্ক পরলেই হবে। কারণ, রোগী থেকে বাতাসের মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায় না।
. যেহেতু আইসিইউতে রেখে এই রোগীর চিকিৎসা করা যায়, এ জন্য রেফার্ড করার প্রয়োজন নেই।
যেকোনো প্রকার তথ্যের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কল সেন্টারে ১৬২৬৩-৩৩৩ নম্বরে যোগাযোগ করবেন।
পাঠকের মতামত