ঢাকা, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে আটোয়ারী আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশ: ২০২২-০৮-২১ ১৯:৫৪:০৮ || আপডেট: ২০২২-০৮-২১ ১৯:৫৪:০৮

আটোয়ারী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি :
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত সকলের বিচারের দাবীতে পঞ্চগড়ের আাটোয়ারী উপজেলা আওয়ামীলীগ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

এ উপলক্ষে রবিরার বিকেলে স্থানীয় দলীয় কার্যালয় হতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মকলেছুর রহমানের সঞ্চালনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: তৌহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মো: এমদাদুল হক, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মো: আঃ কুদ্দুছ ও রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান মো: আবু জাহেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: ওয়াজেদ আলী ও মো: মিজানুুর রহমান, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মো: কামরুজ্জামান গোলাপ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা গ্রেনেড হামলায় জড়িত যে সব আসামী এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন তাদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক শাস্তি কার্যকর করার দাবী জানান।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলা হযেছিল। যে হামলায় ২৪ জন নিহত হন এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ প্রায় ৩০০ নেতাকর্মী আহত হয়।

এই হামলায় নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নারী নেত্রী মিসেস আইভি রহমান অন্যতম, যিনি বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী ছিলেন।

২০০৪ সালের সারাদেশে জঙ্গিদের বোমা হামলা এবং গোপালগঞ্জে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ২১ আগস্ট বিকেলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে বিকেল পাঁচটায় পৌঁছালে, একটি ট্রাকের ওপর তৈরি মঞ্চে তিনি কুড়ি মিনিটের বক্তৃতা শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মঞ্চ থেকে নিচে নেমে আসতে থাকেন। ঠিক এমন সময় শুরু হয় মঞ্চ লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা। মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে বিস্ফোরিত হয় ১১টি শক্তিশালী গ্রেনেড। এতে ঘটনাস্থলেই ১২ জন এবং পরে হাসপাতালে আরও ১২ জন নিহত হন।

এ ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক জিয়া, চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু, হরকাতুল জিহাদ প্রধান মুফতি হান্নান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে অন্য মামলায় মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদন্ড হওয়ায়, তিনজন ছাড়াই বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।