
পলাশ বড়ুয়া:
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারো আগুন লেগে ৫৭০টি ঘর পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় মো: আয়াজ (৩) নামে এক শিশু মারা গেছে। দুই ঘন্টা ব্যাপী কাজ করে ফায়ার সার্ভিস এর ২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।
নিহত শিশুটি ক্যাম্প-৫ এর ডি ব্লকের মো: করিমের ছেলে।
এদিকে বারংবার অগ্নিকান্ডের ঘটনার পিছনে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে দেশি-বিদেশী এনজিও’র কারসাজি রয়েছে এমনটি দাবী স্থানীয়দের।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিকালে উখিয়ার কুতুপালং ৫ নম্বর ইরানী পাহাড় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৫৭০টি ঘর পুড়ে গেছে। এমনটি জানিয়েছেন, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন।
তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক কক্সবাজার ও উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ ইমদাদুল হক বাইরে থাকায় অফিসিয়াল নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলেন। জানতে চাইলে সন্ধ্যা ৭ টার দিকেও আগুন নিয়ন্ত্রণ, ক্ষয়ক্ষতি, হতাহতের বিষয়ে কোন তথ্য জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট অফিস।
তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি এপিবিএন, ক্যাম্পের স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় দুই ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্যাসের চুলা থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত বলে জানা গেছে।
এর আগেও ৯ জানুয়ারি একটি ক্যাম্পে আগুনে সহস্রাধিক ঘর পুড়ে গেছে। পরে ১৮ জানুয়ারি উখিয়ার ইরানী পাহাড়ের ৫ নম্বর ক্যাম্পে লাগা এ আগুনে ২৯টি বসত ঘর পুড়ে গেছে। সর্বশেষ ২৫ ফেব্রুয়ারি কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে উখিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্প কেন্দ্রিক সাইট ম্যানেজমেন্ট ও শেল্টারে নিয়োজিত এনজিও গুলো দুষ্কৃতিকারী রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে বারবার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটাচ্ছে। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত পূর্বক জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা জরুরী।
পাঠকের মতামত