
পলাশ বড়ুয়া:
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক সম্প্রসারণ কাজের অংশ হিসেবে সওজের উচ্ছেদ অভিযান কাল মঙ্গলবার। তবে উচ্ছেদ অভিযানের নামে বেআইনী ও অবৈধভাবে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ দোকান মালিক-কর্মচারীদের।
সওজ সূত্রে, ১৯৫৪-৫৫ সালের অধিগ্রহণ অনুযায়ী জনস্বার্থে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার কোটবাজারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেছেন, কেউ যদি খরিদসূত্রে কিংবা অবৈধ ভাবে সড়ক বিভাগের জায়গা দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলে এসবের জন্য সরকার কিংবা সওজ দায়ী নয়।
তিনি বলেছেন, যানজটমুক্ত নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল ধরণের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
এ নিয়ে সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কোটবাজার দোকান মালিক-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে আরব সিটি সেন্টার চত্বরে ইউনুছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বক্তারা।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরী বলেছেন, আমরা দেশের আইন মেনে চলি। আইন ভঙ্গ করতে বাধ্য করবেন না। সরকারের উন্নয়ন কাজে বাধা দেওয়ার কোন মানসিকতা আমাদের নেই। সড়ক সম্প্রসারণ কাজে যদি ব্যক্তি মালিকানার জায়গা অধিগ্রহণের দরকার হয়, আমরা ছেড়ে দিতে রাজি আছি। তবে সেটা যেন ক্ষতিপু্রণ আদায় সাপেক্ষে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়।
তিনি বলেছেন, ইতোপূর্বেও সড়ক সম্প্রসারণের জন্য কোন ধরণের ক্ষতিপূরণ ছাড়া জায়গা ছেড়ে দিয়েছি। এখন আবার নতুন করে সড়কের উভয় দিকে চিহ্ন দিয়েছে সওজ। যেখানে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনী।
বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, হলদিয়াপালং ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টু ও রত্নাপালং ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন কন্ট্রাক্টর, কোটবাজার দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি খোরশেদ বাবুল, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান।
এসময় বক্তারা আরো বলেছেন, যদি ভাঙতে হয়, তাহলে লিংক রোড থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে হবে।
দেশের মালিক জনগণের হয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্ব করছেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তারাও এ বিষয়ে কিছুই জানেনা। অথচ সওজ তাদের মনগড়া উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে।
যে সব জায়গার কেউ খরিদসূত্রে, কেউ আবার ওয়ারিশ সূত্রে মালিক আমরা। যা দীর্ঘ সময় ধরে খাজনা আদায় করে আসছি। তবুও অন্যায় ভাবে ক্ষতিপু্রণ আদায় না করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হলে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণের হুশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ।
এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা যেমন আমার দায়িত্ব। তেমনি জনগণের ক্ষতি হয় এটাও আমার কাম্য নয়।
তিনি বলেছেন, সওজের নিযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। তবে সওজের জায়গা যদি কেউ দখল করে থাকে সেটার পক্ষে আমি নয়, আবার সওজ কারো ব্যক্তিমালিকানাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ করারও সুযোগ নেই।
পাঠকের মতামত