
গফুর মিয়া চৌধুরী:
উখিয়ায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ১০টি রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলছে পুরোদমে। কাজের গুনগতমান ভাল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও স্হানীয় এলাকাবাসী প্রবাসী ঝন্টু বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির নেতা জয়নাল উদ্দীন,ডাক্তার বিসি বড়ুয়া সহ অনেকেই।
আজ রোববার সকালে পাতাবাড়ি বৌদ্ধ বিহার হতে টাইপালং ডাক্তার কবির আহমদের বাড়ি পর্যন্ত কাজের চলমান প্রকল্প দেখতে গেলে এ প্রতিবেদককে এমনটা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ প্রসঙ্গে টেলিফোনে জানতে চাইলে স্হানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, চট্রগ্রামের ঠিকাদারী প্রতিষ্টান এ আর সি কর্পোরেশনের মালিক সাজ্জাদ হোসেন বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্যাকেজের আওতায় ১০ টি রাস্তার কাজ করছেন। তৎমধ্যে ৯ নং ওয়ার্ডে ৫টি প্রকল্পের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ৪টি প্রকল্পের শেষ হয়েছে। তৎমধ্যে পাতাবাড়ি সড়ক প্রকল্পটির কাজ বর্ষা কালে করতে পারেনি। এ সড়কের খালের কয়েকটি জায়গায় বড় বড় গাইড ওয়ালের কাজ চলছে। এছাড়া নতুন করে প্রকল্পের ধরন ও পরির্বতন করতে হয়েছে । ফলে প্রকল্পটির ব্যয় বৃদ্ধি করে আবার কাজ করতে হচ্ছে।
এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের কাজের মান নিয়ে কারো অভিযোগ না থাকলে ও প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব থাকা স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন এ প্রকল্পের কাজ করতে দু:সাধ্য হতে পারে। কেন না, অনেকে বেআইনী ভাবে রাস্তার জায়গার উপর বা রাস্তার সীমানা ঘেঁষে ইটের দেওয়াল, বাউন্ডারী,গেইট, সুপারিগাছ রোপন করেছে। এতে দ্রুত কাজ করতে কিছুটা অন্তরায় সৃষ্টি হতে পারে। তিনি আরো বলেন সরকারী কাজে বাঁধা দিলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সরকার জনস্বার্থে কঠোর হাতে অন্যায়কারীদের মোকাবেলা করে শক্ত ভাবে প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে পাতাবাড়ি গ্রামের স্হানীয় বাসিন্দা ও জাতীয় পাটি যুব সংহতি উখিয়া শাখার সভাপতি জয়নাল উদ্দীন ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন এখানে শতকরা ৮০ ভাগ আওয়ামীলীগ হওয়ার পর ও প্রাচীনতম এ সড়কের উন্নয়ন হয়নি। কমপক্ষে বিশ বছর আগে এ সড়কের উন্নয়ন হওয়া উচিত ছিল।
রাস্তার উপর যত্রতত্র অবৈধ স্হাপনা কেন করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যেহেতু আগে সড়কের উন্নয়ন কাজ করা হয়নি, সেহেতু অনেকে ভুলে বা সচেতনতার অভাবে করে ফেলেছে। এখন সবাই রাস্তা বড় করার পক্ষে রাজি। একই ভাবে সবাই সড়কের উন্নয়ন চাই।
পাঠকের মতামত