
আলমগীর মাহমুদ:
ঠেলাওয়ালা থেকে উপরিওয়ালা সব মনে এক চিন্তা, একই ধান্ধা ‘টাকা চাই ‘ টাকা ! আরো টাকা। যেপথে যেভাবে সে আসুক ‘তারে মোর চাই ই চাই!
সে আসলেই আপণজনের ভালবাসা রইবে ফকফইক্যা, হাসিতে পূর্ণিমা, চাহনিতে বইবে রংধনু ! সমাজে চলিবে হাওয়াই জাহাজ , আসিবে কদর, মসজিদ, মন্দির, ক্লাবের কর্তার চেয়ার বনিবে ভিক্ষুক! কইবে ” কতদিন আছি অপেক্ষায়! .. আমাকে ব্যবহার করুন।
কামাইয়ের কারখানায় গিনিপিকের মতই আছে মধ্যবিত্ত নিম্নমধ্যবিত্তরা জীবনযুদ্ধে ঘানি টানতে গিয়ে সে আজ দিশেহারা। ত্রিশদিনের মাইনা মাইনাই আছে…
তেল,ডাল,চাল,গাড়ী থেকে নেইম কার্ডে পর্যন্ত এমন দাম বেড়েছে , মাস মাইনা মাস ফুরোবার অনেক আগেই শেষ! তারপরেও কি নিস্তার আছে.. !
এই চক্রে মধ্যবিত্ত বিলীন হতে সময়ের ব্যাপার মাত্র, নিম্নবিত্তরে অণুনীক্ষণ যন্ত্রে খোঁজন লাইবে…!
ঠিক এমনি সময় কক্সবাজারের টমটম, সি এন, জিওয়ালাদের নুতন ভেরিয়েন্ট বি,ডি,আর ক্যাম্প থেকে লিংরোড দশ টাকা থেকে বেড়ে পনেরো টাকা হয়েছে, বিশটাকার নোট দিলে সে পাঁচ টাকা ফেরত না দিয়েই কইবে ভাড়া বিশ টাকা।
কোন জায়গায় ৯০ টাকা ভাড়া। আপনার আছে ১০০/৫০০/ টাকার নোট তখন তার কাছে ভাংতি দশ টাকা রয় না । যখন বাড়তি দশটাকার দাবী ছেড়ে দিয়ে যাচ্ছেন না তখন তার বলা কয়ায় ঢং এ টের পাবেন টাকাটা তারই পাওনা ছিল আপনি ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন!
তখন খানিক রাগতস্বর মিশিয়ে সে কইবে ভাংতি করে দেন…! দিতেই হবে নইলে দশ নাই।
ভাড়া বাড়ার ঘানি টানায় প্যাসেঞ্জার অসহায় তাতেও ক্ষান্ত নয়, ন্যায্যের বাইরেও তাদের হামাগুড়ি, তারা যাহ বলে যেন তাইই আইন।
ওদের এমন কথা শুনলে মনে হবে ”,তারাই ব্যয় ভারে নিয়ন্ত্রণহীন বাংলাদেশের বুকে আরেক বাংলাদেশ!
লেখকঃ- বিভাগীয় প্রধান সমাজবিজ্ঞান বিভাগ উখিয়া কলেজ কক্সবাজার।
alamgir83cox@gmail. com
পাঠকের মতামত