
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
কাতারি উপদ্বীপের পাথুরে মরুভূমির মাঝখানে হঠাৎ করে চোখে পড়বে একশ’ মিটার গভীর এক খাঁদ। মাটির ওপর কিংবা নিচে যেখান থেকেই তাকানো হোক দেখতে দৃষ্টিনন্দন এই গর্তটির নাম মাসফুর। প্রাচীন এই গর্তটি কাতারে আবিষ্কৃত সিঙ্কহোলের মধ্যে সবচেয়ে গভীর বলে বিশ্বাস করা হয়।
দোহা থেকে পশ্চিমে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে মূল সড়কের পাশে অবস্থিত মাসফুর। সেকারণে ভ্রমণের জন্য একেবারেই আদর্শ জায়গা।
মাসফুরের প্রবেশ পথটি বেড়া দিয়ে সুরক্ষার জন্য ঘিরে রাখা হয়েছে। বালুময় সিঙ্কহোলে প্রবেশ করা তুলনামূলক সহজ। তবে অসমতল পথ দিয়ে যেতে ভ্রমণকারীদের সতর্ক থাকতে হয়। রয়েছে পাথরে ঘুরে বেড়ানো পোকামাকড়ের ভয়ও।
সিঙ্কহোলটির নিচে নামা শুরু করলেই আলো কমতে থাকে। তবে মৃদু বাতাস নিচে নামার কষ্ট কমিয়ে দেয়। এতে বড় উদ্ভিদ কম হলেও পাথরের গায়ে বাসা তৈরি করে থাকে পাখিরা।
কাতার ন্যাচারাল হিস্টরি গ্রুপের সিনিয়র ইকোলোজিস্ট ড. চ্যাটজেফেমিউ বেশ কয়েকবার মাসফুর সিঙ্কহোল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, এতে প্রবেশের সময় সুদূর অতীতের জানালা খুলে যায়।
তিনি বলেন, ‘যদি জানেন কিভাবে অস্বাভাবিক ভূমিবিন্যাস গঠন হয়, তাহলে মনে হবে যেন ভূতাত্বিক সময়ের পেছনে যাচ্ছেন; বর্তমানে দেখতে পাচ্ছেন পানি কিভাবে প্রবাহিত হচ্ছে আর পাথুরে ভূমিতে তৈরি হচ্ছে গর্ত।’
উল্লেখ্য, মূল সড়কের পাশেই অবস্থিত সিঙ্কহোলটি।
সূত্রঃ সিএনএন
পাঠকের মতামত