
নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ২০২১ সালের শেষ দিনের সূর্যাস্ত দেখতে হাজারো মানুষ ভীড় করেছে আজ। তবে এবার বীচে উন্মুক্ত থার্টি-ফার্স্ট উদযাপন করা যাচ্ছে না।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) শেষ বিকেলে সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে সূর্যাস্তের সময় এমন ভিড় দেখা গেছে।
নতুন বছর উদযাপনে এবার আশানুরূপ পর্যটক আসেনি। তবে শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় স্থানীয় ও পর্যটকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে সূর্যাস্ত দেখতে আসা পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিষ্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরাও পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা পেতে হেল্প ডেস্ক চালু করেছে। পর্যটকদের আনাগোনায় হাসি ফুটেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মুখে।
এবার উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন হবে না বলে জানায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। তবে দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধার কথা জানিয়েছে প্রশাসন।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলোতে সার্বক্ষণিক ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে। কোনো পর্যটক যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে আমাদের যথেষ্ট নজর ও মনিটরিং রয়েছে। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে আমাদের সদস্যরা রয়েছে। পর্যকদের সুবিধা-অসুবিধা সবসময় দেখভাল করছেন তারা।
ঢাকা থেকে আসা এক দম্পতি বলেন, ‘বিয়ের পর এই প্রথম কক্সবাজার আসা। আমাদের আশা ছিল ২০২১ সালের শেষ দিনটা কক্সবাজারে কাটাবো। আল্লাহ্ সেই আশা পূরণ করেছে। অনেক ভালো লাগছে। বছরের শেষ সূর্যাস্তটা দেখে মনটা আনন্দে ভরে উঠলো।
এছাড়াও বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে বিদেশী পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। বিদেশী পর্যটকরাও সমুদ্রস্নানসহ বালিয়াড়িতে মনের মাধুরী মিশিয়ে মেতে উঠেছে আনন্দ উচ্ছ্বাসে।
জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ বলেন, বছরের শেষদিন হিসেবে প্রতিবছর এদিনে প্রচুর পর্যটক ছুটে আসে কক্সবাজারে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়।
পাঠকের মতামত