
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সম্প্রতি পর্যটন নগরী কক্সবাজারে বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে আলোচনার সৃষ্টি হয়। এতে পর্যটকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ পর্যটকদের সহায়তার জন্য কক্সবাজার সমুদ্র তীরের তিনটি পয়েন্টে হেল্প ডেস্ক চালু করে।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর,২০২১) বিকেল চারটায় কক্সবাজার লাবনী পয়েন্ট সৈকতে হেল্পলাইন সেবার উদ্বোধন করেন জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক।
ছাত্রলীগের হেল্পলাইন সেবাকে স্বাগত জানিয়েছেন সৈকতে আসা পর্যটকরা।
হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে কক্সবাজারে সারাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পর্যটকদের সহায়তা নিশ্চিত করা হবে জানান কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান।
হেল্প ডেস্ক সম্পর্কে প্রচারণার লক্ষ্যে কক্সবাজার লাবনী পয়েন্ট থেকে সায়মন বীচ পয়েন্ট পর্যন্ত একটি সচেতনতা মূলক ক্যাম্পিং করে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ ।
ক্যাম্পিং শেষে মারুফ আদনান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে দেশ ও জাতীর প্রয়োজনে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় সম্মুখে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। বর্তমানে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের নির্মোহ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছে।
ছাত্রলীগ যখন ছাত্র সমাজ ও দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করে এগিয়ে যাচ্ছে তখন সেই পুরনো দেশের শত্রুরা ষড়যন্ত্র করে আসছে। এ ষড়যন্ত্র আজকে নয়। শুরু হয়েছিল ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে। কিন্তু ছাত্রলীগ সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন , কক্সবাজারে সম্প্রতি এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। দুঃখজনকভাবে ঘৃণ্য এ ঘটনায় পরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগকে জড়ানো হচ্ছে। এটি আর কিছু নয়, ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনো অপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়নি, দেবেনা।
তাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পর্যটক হয়রানি রোধে হেল্প লাইন চালু করেছে। ১০ জন করে তিনটি টিম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পর্যটকদের সহযোগিতায় সদা প্রস্তুত থাকবে। প্রতিটি টিমের নাম্বার আমরা ব্যানারে দিয়েছি।
নাম্বার সমূহ: ০১৮১৮-১৬৬০০৭, ০১৮২৫৬৫০৩৫৯,০১৮৫৯-২১৮১৪৫।
তিনি জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় থাকা ট্যাুরিস্ট পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে এ দায়িত্ব পালন করবে ছাত্রলীগের হেলফ লাইন টিম।
‘কক্সবাজার’ শুধু কক্সবাজারবাসির নয়, এটি দেশের সম্পদ। এবার কক্সবাজারকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তাই জেলা প্রশাসন, সকল পর্যটন শিল্প ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সচেতন মহল এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে এ সম্পদ রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ছাত্রলীগের এই উদ্যোগ সম্পর্কে ঢাকা থেকে আগত, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমেদ বলেন “কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের এই উদ্দ্যোগ পর্যটকদের মাঝে সম্প্রতি সৃষ্ট বিরূপ প্রতিক্রিয়া দূর করে একটি সুন্দর মনোভাব তৈরি করবে। এছাড়াও সারাদেশে এই উদ্যোগ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ”
রাফিয়া আক্তার নামে এক গৃহবধূ বলেন, কক্সবাজারকে নিয়ে বিভিন্ন সময় নেতিবাচক সংবাদ দেখতে পায়। একই সাথে ছাত্রলীগকে নিয়েও নেতিবাচক প্রচার দেখি। কিন্তু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এসে দেখলাম ছাত্রলীগ পর্যটকদের সহযোগিতার জন্য হেল্পলাইন সেবা চালু করেছে। এটি সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। আমি ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পাঠকের মতামত