
বার্তা পরিবেশক:
১২ ডিসেম্বর, ১৯৭১। এই দিনে শহরের লালদীঘির পাড়ে পাবলিক হল মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে
কক্সবাজারকে শত্রুমুক্ত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়। ভোর-সকালে একদল মুক্তিযোদ্ধা চারটি খোলা জিপে করে
কক্সবাজার শহরে আসেন। সকাল ১০টায় পাবলিক হল মাঠে (বর্তমান শহীদ দৌলত ময়দান) আনুষ্ঠানিকভাবে
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং কক্সবাজারকে হানাদারমুক্ত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়।
কক্সবাজার মুক্ত হবার মহান এই দিনটিকে পালনের উদ্দেশ্যেই ‘বিজয় পথে পথে’ শিরোনামে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মহাসমাবেশের আঞ্চলিক সমাবেশ উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে, বাহারছড়া
মুক্তিযোদ্ধা মাঠে। জয় বাংলা ধ্বনিতে সদা জাগ্রত যে বাঙালি; আবারো মুখরিত হবে বিজয়ের এই সুবর্ণজয়ন্তীতে,
বিজয় পথে পথে।
সর্বপ্রথম মুক্তাঞ্চলের ভিত্তিতে, ক্রমান্বয়ে এই আয়োজন হচ্ছে, পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। স্থানীয় পর্যায়ে বীর
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানানো ও তাঁদের সম্মান প্রদর্শন করা, যুদ্ধের অসাধারণ গল্পগুলো উপভোগ
করা, তরুণদের যুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া, সবাইকে এই বিজয় দিবসের বিশালতা উপলব্ধি
করানো এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দেশব্যাপী উদ্যাপন করার লক্ষ্যে এই আয়োজন করা হয়েছে পর্যটন
নগরী কক্সবাজারে।
অনুষ্ঠানে, বিজয়ের গল্পগুলো রোমন্থন করার উদ্দেশ্যে, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সংগ্রামের দিনগুলোর স্মৃতিচারণা করবেন। পাশাপাশি মহাসমাবেশে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। “বিজয় পথে পথে” শিরোনামে একটি দেশাত্মবোধক মৌলিক গান পরিবেশিত হবে। সেইসাথে সুধীজন সম্মাননা, সংবর্ধনা, পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে বর্ণাঢ্য এই আয়োজন আরো উপভোগ্য করে তুলবে।
সবশেষে, কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে মনমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অংশে দেশসেরা শিল্পীদের পাশাপাশি সঙ্গীত পরিবেশন করবে, জনপ্রিয় ব্যান্ড দল, চিরকুট।
উল্লেখ্য, ‘বিজয় পথে পথে’ শিরোনামে দেশের বিভিন্ন স্থানে শত্রুমুক্ত হওয়া উপলক্ষ্যে আঞ্চলিক এই মহাসমাবেশ
অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গত ২ তারিখ, পঞ্চগড়, যশোর, ৬ তারিখ, গোপালগঞ্জ, ৭ তারিখ, ৮ ডিসেম্বর কুমিল্লায়, জামালপুরে ১০ ডিসেম্বর এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ক্রমান্বয়ে, কক্সবাজারে ১২ ডিসেম্বর এবং সিলেটে ১৫ ডিসেম্বর আঞ্চলিক মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
পাঠকের মতামত