
আলমগীর মাহমুদ:
উখিয়া কলেজের কর্মচারী আলী হাফেজ। কলেজকে পুত্র স্নেহে আগলে, মনের মমত্বে রাত্রিকালীন পাহারা, আবার কখনও দিনের ডিউটি– সময়ের এই চকবন্দে আমার সাথে কাটানো ২৭ বছরের ভালবাসার অতন্দ্র প্রহরী।
দস্তখত জ্ঞানের এই মানুষটির বিরল আত্মসম্পদ ছিল ‘সততা’।মিথ্যা সাক্ষী, মিথ্যা বলানো, লাভ ও লোভে উচ্চপদস্ত কাউকে খুশী করতে জানত না মেকি আচরণও!
কেন্টিনে চা,নাস্তা আনতে গিয়ে বেঁচে যাওয়া টাকা ফেরতে ছিল শক্তিধর, যার কাছে নিলে মন খারাপ করবে না তাকে আস্তে করে বলতো..
‘ এত টাকা আছে স্যার, আমি পকেটে রেখেদিলাম, আমার নাস্তাতো ছুটির পরে বসে খেতে হবে ‘স্যার” বলে মৃদু হাসত…..
যতক্ষণ ডিউটি– ধর্মজ্ঞানে কর্ম র্চ্চা করতো।পুরোটাই থাকতো কলেজের।জোহরের আজান হলে ডিপার্টমেন্টে এসে আস্তে করে চাটগাঁইয়া ভাষায় কইতো– আজান দিয়ে স্যার!
সকালে কলেজে পৌঁছালে কলেজের পাশঘেষে প্রতিবেশী আলী হাফেজের বাড়ি থেকে মক্তবের দোয়া মাসুরা পড়ার শত ছেলেমেয়ের এক কণ্ঠ, একই আওয়াজে আকাশ প্রকম্পিত হতো। উনার স্ত্রী ‘র পাঠে এমন শিক্ষা চলতো একান্ত ঘরোয়া মক্তবে, মাসোহারাবিনে ।
কবির, ছিদ্দিক চাচা,আবদুল হাকিম–ধরাধমে বিদায় নেয়া উখিয়া কলেজের কর্মচারী, আজ তাদের সাথে যোগ হল ‘আলী হাফেজও’—-
আমরা রইলাম তোমাদের ভালবাসায়,.. জান্নাত কামনায়.. কামনায় ….
লেখকঃ– বিভাগীয় প্রধান। সমাজবিজ্ঞান বিভাগ। উখিয়া কলেজ, কক্সবাজার।
পাঠকের মতামত