
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামীকাল ১১ নভেম্বর ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে উখিয়ার ৫ টি ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকল ধরণের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এবার কঠিন সমীকরণে সীমান্ত জনপদ পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। চলছে ত্রিমুখী লড়াই। কে হচ্ছেন মাদকের ছড়াছড়ি ও রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এই জনপদের নতুন চেয়ারম্যান। সাধারণ ভোটাররাও করছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ।
কাল নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
তারা হলেন, আওয়ামী ঘরানার স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের শাহাদত হোসেন জুয়েল। পিতা মকবুল হোসেনের জনপ্রিয়তার সাথে প্রচারণায় নেমে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন তার বোন ডা: শারমিন হোসেন।
চশমা প্রতীকের অ্যাডভোকেট এমএ মালেকের পক্ষে
শেষদিনের নির্বাচনী জনসভায় সকল ধর্মের হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ অন্যান্য প্রার্থীদের কাছে চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও আ’লীগ, বিএনপি-জামায়াতের একাংশ তার কাতারে ভিড় করেছে।
অপরদিকে একই দিন সন্ধ্যায় বিএনপি ঘরানার ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরীর সমর্থকদের এক কিলোমিটার লম্বা মশাল মিছিল বলে দিচ্ছে এখনো জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন তিনি।
তবে বহুমুখী বাঁধায় পিছিয়ে গেছে নৌকা প্রতীকের এম এ মঞ্জুর। তার পক্ষে জেলার দুয়েক জন নেতাকর্মী জনসভায় প্রচারণা চালালেও পাশে নেই তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
গতবারের নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী জনপ্রিয়তা দিনদিন ভাটার দিকে সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী আহমদের।
গতকাল পালংখালীর নির্বাচনী মাঠ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
উৎসব পরিবেশে দৃশ্যমান নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, পালংখালী ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৬৫৭ জন।
পাঠকের মতামত