
মান্দা (নওগাঁ) সংবাদদাতা:
নওগাঁর মান্দায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু না হতেই বিদ্রোহী প্রার্থী ও নৌকার প্রাথীর মধ্যে সংর্ঘষে ৬ জন কর্মিকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র ও নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া শহীদ বাজারে বিদ্রোহী প্রার্থী ও নৌকা প্রাথীর কর্মিদের ও পর হামলার এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন, পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত পিয়ার উদ্দিনের ছেলে হায়াত উদ্দিন (৪৮) ও মেহের আলীর ছেলে আয়নাল হক (৪৫),সোহেল আলী, তারেক হোসন ,আতাউর হোসেন, ও কালাম হোসেন,ঘটনায় ভারশোঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী আলতাজ উদ্দিন মান্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাজ উদ্দিন পাকুড়িয়া এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ করেন। মাগরিবের নামাজের পর গণসংযোগ শেষ করে তিনি চলে যান। এর কিছু পরে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের ক্যাডার বাহিনি বিদ্রোহী প্রার্থী আলতাজ উদ্দিনের কর্মী হায়াত ও আয়নালের ওপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে। তাঁদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে সুমনের ক্যাডার বাহিনি ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে।
বিদ্রোহী প্রার্থী আলতাজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রচার-প্রচারণা শুরুই না হতেই নৌকার প্রার্থী সুমন তাঁর ক্যাডার বাহিনি লেলিয়ে দিয়ে আমার কর্মি-সমর্থকদের মারপিট করেছে। কর্মিদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিতসহ মান্দা থানায় অভিযোগ করেছি।’
মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। শুনেছি আমার কর্মি-সমর্থকদের সঙ্গে অপর পক্ষের গন্ডগোল হয়েছে।
এ বিষয়ে আমিও থানায় অভিযোগ করেছি।’ মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুই প্রার্থীর পক্ষে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি অবহিত হয়ে দুই প্রার্থীকে ডেকে সর্তক করে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে কোন প্রার্থী বাড়াবাড়ি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত