
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নে পঞ্চাশ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, তা গত ৫ বছরে হয়েছে। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ৫০০ কোটি টাকার উপরে উন্নয়ন করেছি। এখনো ১০৪ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে পিচঢালা রাস্তা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১টি সাইক্লোন সেল্টার, উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪টি বহুতল ভবন, মাদ্রাসায়-২টি ভবন নির্মাণসহ মরিচ্যা বাজারের অবৈধ দখলমূক্ত করে ব্যবসায়ীদের নান্দনিক শেড নির্মাণ করে নিরাপদ ব্যবসা করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও উখিয়ার একমাত্র মডেল মসজিদটি হলদিয়াপালংবাসীকে উপহার দেওয়া হয়েছে।
গত ৫ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কারো একটি টাকা ক্ষতি করিনি। সব সময় আল্লাহকে ভয় করে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করেছি। নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সব মানুষকে নিজের মনে করে দায়িত্ব পালন করেছি। কাউকে পর ভাবিনি। কোন মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করিনি। তবুও মানুষ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ছোটখাটো ভুলত্রুটি যদি হয়ে থাকে আমাকে ক্ষমা করবেন। আপনাদের ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার আমার আছে।
আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনের নৌকা প্রতীকে আমাকে ভোট দিয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান হিসেবে আপনাদের খেদমত করার সুযোগ দিন।
সোমবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মরিচ্যা গরু বাজার মাঠে হলদিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী জনসভায় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ শাহ আলম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি ২৫টি বৎসর শিক্ষকতা করেছি। শিক্ষা আলো জ্বালিয়ে অন্যের সন্তানকে মানুষ করার কাজ করেছি। বর্তমানে যাদের অনেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন। পাঁচ বৎসর আগে চেয়ারম্যান নির্বাচিত জনগণের সেবা করে যাচ্ছি। দায়িত্বপালন কালে আমার হাত পরিষ্কার রেখেছি। জিহ্বা পরিষ্কার রেখেছি। কখনো লোভের বশীভূত হয়নি।
আপনাদের সেবা করতে গিয়ে একটা দিনও এলাকা ছেড়ে কক্সবাজার অবস্থান করিনি। কখনো কারো ক্ষতি করিনি।
তিনি বলেন, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ১৪ হাজার ৩৫৩ পরিবারের মাঝে ৫ হাজার মানুষকে ভিজিডি, ২ হাজার ৩০০ পরিবারকে ১০টাকার চাউলের কার্ড দিয়ে ৭ হাজার পরিবারকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। এছাড়াও রান্নার জন্য ৮৫০০ পরিবারকে এলপিজি গ্যাস বিতরণ করেছি। আরো দুই হাজার মজুদ আছে।
শাহ আলম বলেন, সবকিছুর মালিক আল্লাহ। প্রতিটি মানুষের ৪০ বছর বয়সে পরিপূর্ণতা আসে। আমার মামা মাহমুদুল হক চৌধুরী তাঁর ছোট ছেলে একটা দিয়ে আমার সাথে ধাক্কাধাক্কি করছে। এর আগেও করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব জানেন, কে কোন দল করে ? কে সকাল-বিকাল দল বদল করে নেত্রীর কাছে সব হিসাব আছে। আমার আরএস, বিএস, এমআরআর সব ঠিক আছে। তাই নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছে। তাদের ঠিক নেই তাই নৌকা পায়নি।
তারা নৌকার মনোনয়ন চাইতে গিয়ে কেন্দ্রে হলফনামা দিয়েছিল। নৌকা না পেয়ে এখানে এসে একবার কলাগাছ আবার ঘোড়া বলে বেড়াচ্ছে। আগে মানুষের সাথে ভালোবাসা বিনিময় করুন। তারপর নির্বাচন করুন।
ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী ইমরুল কায়েস চৌধুরীর পিতা সাবেক উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি ত হলদিয়াপালং ইউনিয়ন ও উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ৭ বছর দায়িত্বপালন করেছেন। কি উন্নয়ন করেছেন ? এছাড়াও নিজেদের রিজার্ভ ভোট বলে হিন্দুদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
২০০১ সালে হিন্দুরা আওয়ামীলীগে ভোট দিয়েছিল বলে তাদের নির্যাতন করেছিলেন। হিন্দু-বৌদ্ধরা নৌকা মার্কার মানুষ। তারা আওয়ামীলীগের মানুষ। বঙ্গবন্ধুর মানুষ। নির্বাচনে কোন ধরণের অনিয়ম বিন্দুমাত্র বরদাস্ত করবে না রাষ্ট্রযন্ত্র।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক মকুল, উখিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, এড. মিয়া মোহাম্মদ হোসেন, এড. আব্দুর রহিম, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ছৈয়দ মোহাম্মদ নোমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জয়নাল উদ্দিন বাবু।
পাঠকের মতামত