
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
কক্সবাজারের উখিয়ায় এবার ঘোড়া প্রতীকে অভিভাবকরা ভোট না দিলে স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়ার হুমকি দিল কয়েকজন শিক্ষক। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোছাইন চৌধুরীর পক্ষে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে তারা। শিক্ষকদের বিতর্কিত এই কর্মকান্ডের কারণে ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ নিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্গনের অভিযোগ এনে শাহ আমিন চৌধুরী নামে অপর এক চেয়ারম্যান প্রার্থী রিটার্নিং অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, জালিয়াপালং উপকূলীয় নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোক্তার আহমদ, সহকারি শিক্ষক এস্তাফিজুর রহমান সিকদার, মিজানুর রহমান, সহকারি শিক্ষিকা শাহেদা বেগম ও আমেনা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ১নং জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা করছে আনোয়ার হোছাইন চৌধুরী। তিনি আবার মাদারবনিয়া উপকূলীয় নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হয়। অভিযুক্ত শিক্ষকগণ নির্বাচনী আচরণবিধি তোয়াক্ষা না করে প্রকাশ্যে সভাপতির পক্ষে ভোটের প্রচারণায় অংশ নেয় এবং শিক্ষার্থীদের হুমকি দিচ্ছে। অন্যথায় নির্বাচন পরবর্তী স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হবে।
তবে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জালিয়াপালং উপকূলীয় নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোক্তার আহমদ। তিনি বলেন, আমার বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক এধরণের কাজে জড়িত নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মো: ইরফান উদ্দিন বলেন, কোন প্রার্থীর পক্ষে শিক্ষকরা যদি প্রচারণায় কিংবা শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়ে থাকে এটা আইনত: অপরাধ। এধরণের প্রমাণাদি থাকলে জমা দিতে বলেছি। তবে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হলদিয়াপালং ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম তার নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন কালে কেউ যদি নৌকা ভোট না দেয় তাহলে নিজেদের কবরস্থানে কবর দিতে দেওয়া হবে না।
একই দিন রাতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্গনের দায়ের কোটবাজারে হলদিয়াপালং ইউপি’র ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকদের ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: তাজ উদ্দিন।
পাঠকের মতামত