
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের উখিয়ায় নির্বাচনী উত্তাপ দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে।রত্নাপালং ইউপি’র এক প্রার্থী ও সমর্থকের মধ্যে কয়েকদিন ধরে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পর প্রকাশ্যে জনসম্মুখে অশ্রাব্য বাক্য বিনিময় করতে দেখা গেছে আজ।
এ ঘটনার পর নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে দুইজনকে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন রত্নাপালং ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গুলশান আক্তার।
আচরণবিধি ভঙ্গকারীরা হলেন, রত্নাপালং ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঘোড়া প্রতীক) নুরুল কবির চৌধুরী।
সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে ভালুকিয়াপালং হারুণ মার্কেট নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তদন্তকালে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং রিটার্নিং অফিসারের উপস্থিতিতে নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্ন ঘটানোর মাধ্যমে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন তারা দুই জন।
এ সময় এক পর্যায়ে নুরুল কবিরকে উদ্দেশ্য করে হাজারো জনসম্মুখে “লাথি মারি পেট ফাডি ফেলাইয়ম” বলে বিশ্রী পরিবেশের সৃষ্টি করেন চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী। এ নিয়ে পুরো উপজেলায় আলোচনার ঝড় উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেছেন, মূলত: বর্তমান চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী নিজে প্রার্থী না হয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল হুদার পক্ষে কাজ করার নামে নির্বাচন স্থগিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা তার নির্বাচনী কৌশল ছাড়া কিছু নয় তাদের অভিমত।
আমজাদ হোসেন নামে একজন তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, “কথিত বিএনপি নেতার অপকর্মের দায়ভার আওয়ামীলীগের কাঁধে ভর করবে।”
তবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে এমনটি জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
পাঠকের মতামত