
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও জেলা যুবলীগ নেতা মোনাফ সিকদারকে গুলি করার নির্দেশ দাতা হিসেবে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভা মেয়র মুজিবুর রহমান প্রধান আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যার চেষ্টা মামলা লিপিবদ্ধ হয়েছে।
রোবার বেলা ১২ টায় মেয়র মুজিবকে প্রধান আসামী করে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেছেন আহতের বড় ভাই। ওই মামলায় আরো আটজনকে অজ্ঞাত রাখা হয়। এই মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যায় শহরের সকল দোকানপাট বাস কাউন্টার বন্ধ করে দিয়েছে মেয়র মুজিবের অনুসারিরা।
এ সময় সড়কের মাঝখানে পৌরসভার ময়লা গাড়ি রেখে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় তারা। এনিয়ে চরম আতংক বিরাজ করছে পর্যটক ও সাধারণ মানুষের মাঝে।
সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাতে শহরের কলাতলীর সুগন্ধা পয়েন্টে মোনাফ সিকদার (৩২) কে গুলি করা হয়। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে আহত মোনাফ সিকদার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘‘আমাকে মুজিবুর রহমান মেয়রের নির্দেশে গুলি করা হয়েছে। ওরা গুলি করার সময় বলছিল ‘তুই মুজিব চেয়ারম্যানের সাথে লাগছিস? মুজিব চেয়ারম্যানের সাথে আর লাগবি?’ এই বলে পিছন থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়।’’ তার বক্তব্যের ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
তবে এ বিষয়ে জানার জন্য মেয়র মুজিবুর রহমানকে কয়েকদফা ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ( ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, হত্যা চেষ্টা ধারায় মেয়র মুজিবকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে মেয়র মুজিবুরের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরপরই পুরো শহরে আতংক বিরাজ করছে। মেয়রের অনুসারীরা বিক্ষোভ মিছিল করছে অন্যদিকে দোকানপাট বন্ধ করে দিচ্ছে। প্রধান সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীরুল গিয়াস বলেন, অপরাধীদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। কারও ইন্ধনে এ ঘটনা হয়ে থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঠকের মতামত