
পলাশ বড়ুয়া ॥
কক্সবাজারের উখিয়ায় বৌদ্ধদের ৪৮টি প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে প্রবারণা পূর্ণিমা। এটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পালিত একটি একটি ধর্মীয় উৎসব; যা আশ্বিনী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের নিকট এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে এবং ধর্মীয় উগ্রতা থেকে রক্ষা করতে বৌদ্ধ বিহার গুলোতে পুলিশ মোতায়েন ছিল।
বুধবার সকাল থেকে পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে বিশ্ব শান্তি কামনায় বৌদ্ধ ভিক্ষু, উপাসক-উপসিকাদের সমবেত প্রার্থনা করে । সবাই নতুন পোষাক পরিধান করে স্ব-স্ব প্যাগোডায় গিয়ে বুদ্ধ পূজা, অষ্টশীল, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ফানুস উত্তোলনসহ নানাবিধ ধর্মীয় কার্যাদি সম্পন্ন করে।
পূর্ণিমার সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে বুধবার সন্ধ্যায় উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মধ্যরত্না রত্নাংকুর বৌদ্ধ বিহার ও পূর্বরত্না মৈত্রী বিহার পরিদর্শন করেন। এ সময় ইউএনও নিজাম সহ সকলই ফানুস উত্তোলন উৎসবে যোগ দেন এবং বৌদ্ধ জনগোষ্টির সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রতিনিধি দলের সাথে ছিলেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: তাজ উদ্দিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সঞ্জুর মোর্শেদ, ওসি (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আল মামুন সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা।
এবার উখিয়া উপজেলার প্রায় অর্ধশত প্যাগোডায় প্রবারণা পূর্ণিমা উপযাপিত হয় বলে জানিয়েছেন বৌদ্ধ প্রতিনিধি শিক্ষক মেধু কুমার বড়ুয়া। এদিকে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রবারণা উপযাপন করতে পারায় উপজেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ।
এর আগে মঙ্গলবার উখিয়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার মাধ্যমে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনের লক্ষে সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন।
https://www.facebook.com/csb24com/videos/1035820467213866
পাঠকের মতামত