
একজন ভালো মানুষ ইন্তেকাল করেছেন আজ ভোরে। নম্র, ভদ্র, শান্ত মানুষটির মৃত্যুতে উনার আত্নার শান্তি, সদ্গতি কামনা করছি।
২০০২/৩ সালের দিকের কথা। তখন উনি হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। যদিও আমি তাকে চিনতাম না। কেবল এসএসসি পাস করেছি।
ওই সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, অভিভাবকের সম্মতিপত্র সত্যায়িত করতে গিয়েছিলাম মরিচ্যায়। ওই সময় পরিষদের কমপ্লেক্স হয়নি।
শুনলাম চেয়ারম্যান হলদিয়া রোডের উত্তর পাশে চা দোকানের (রেস্টুরেন্ট) সামনে বসেন। গিয়ে দেখি দোকানের সামনে সব চেয়ার-টেবিল খালি।
আমি একটি চেয়ারে বসে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর কয়েকজন মানুষ আসল। এদের মধ্যে একজন আদর করে আঞ্চলিক ভাষায় জানতে চাইল “অতু তুই হারো পুয়া? কিয়াল্লাই আইস্সো?” জবাবে আমার পরিচয় পেয়ে আবার জানতে চাইল চেয়ারম্যানকে চিনি কিনা? বললাম চিনি না।
তখন একজন বলে উঠে উনিই চেয়ারম্যান। তুমি যে চেয়ারে বসেছ ওইটাতে চেয়ারম্যানের বসেন। তখন আমি উঠে দাঁড়াতে চাইলে আমাকে বসিয়ে দেয় চেয়ারম্যান নিজে।
পরে একজনকে ডেকে গফুর চৌধুরীর দোকান থেকে একটা সার্টিফিকেট (ফটোকপি করা জাতীয়তা সনদ) নিয়ে আসেন এবং সনদটি নিজে আমাকে লিখে দেন।
জানি না উনার জায়গায় অন্য কেউ হলে আমাকে কি বলত?
এতোক্ষণ বলছিলাম উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সিকদারের কথা। যিনি আজ আমাদের ছেড়ে গেছেন। দেখা হবে না আর।
স্মৃতিচারণে-
পলাশ বড়ুয়া
সাধারণ সম্পাদক
উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাব।
#01817350135
পাঠকের মতামত