
ইমরান আল মাহমুদ:
একটি কাঠের সাঁকো বা সেতুর অভাবে নৌকা নির্ভর জীবনযাপন করছে পাঁচ হাজারের অধিক মানুষ। যাতায়াতের এক মাত্র মাধ্যম কাঠের নৌকা। এমনকি লাশবাহী খাটিয়াও পারপার হয় নৌকাযোগে।
অথচ উন্নয়নের মহাযজ্ঞে বদলে যাচ্ছে পুরো দেশ। এর ছোঁয়া লাগেনি উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সিকদার পাড়া ও গোরাইয়ার দ্বীপ এলাকায়।
সোমবার (৩০ আগস্ট) এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের দেখা মিলে ওই এলাকায়। কাঠের নৌকা দিয়ে রবিবার সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ছগির আহমদের লাশ খাটিয়ার মাধ্যমে আনা হয় খালের এপাড় থেকে ওপারে। অতিমাত্রায় ঝুঁকি নিয়ে কোনমতে লাশ নেয়া হয় জানাযার উদ্দেশ্যে। লাশ আনার আগে ও পরে শত শত মানুষ খাল পার হয় মাত্র দুটি ডিঙি নৌকার সহায়তায়।
এলাকাবাসীরা জানান, স্বাধীনতার ৫০বছর পেরিয়ে গেলেও অবহেলিত সিকদার পাড়া ও গোরাইয়ার দ্বীপের প্রায় ৬ হাজার মানুষ। সারাদেশে উন্নয়নের ছোয়া লাগলেও এ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ডিঙি নৌকা। প্রতি বর্ষাকালে পানির প্রবল স্রোতে অসংখ্যবার নৌকা উল্টে শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাতারে খাল পার হয়েছে বলে জানায় তারা।
তাছাড়া শত শত স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী জানান, কাঠের নৌকা দিয়ে খাল পার হওয়া জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে সেতু নির্মাণ করা হবে। আশা করি দ্রুত সময়ে এ দুর্ভোগ লাঘব হবে। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, জালিয়াপালং ইউনিয়নের এ এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত