
পলাশ বড়ুয়া:
গাড়ীর সামনে-পিছনে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে এএসপি পরিচয়ে প্রতারণাকালে দুই সহযোগীসহ ৩ জনকে আটক করেছে ৮ এপিবিএন।
আটককৃতদের মধ্যে এএসপি পরিচয়দানকারী মোঃ আহসান ইমাম (৩৩)। সে গোপালগঞ্জ সদরের বরফা পশ্চিম শুকতাইল এলাকার মোঃ শাহজাহান মোল্লার ছেলে। সে নিজেকে কখনও এডিসি, কখনও এএসপি হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণামূলক কাজে যুক্ত বলে সহযোগীরা জানায়।
গাড়ির ড্রাইভার পটুয়াখালী গলাচিপার বুনিয়া এলাকার আব্দুল হক শিকদারের ছেলে মোঃ মিন্টু (৩০) এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মহিষমারি এলাকার মো: মনোয়ার হোসেনের ছেলে মো: মানসুর রহমান (২৯)।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-০৮ ইষ্ট এর সিআইসি-৮ ইস্ট এর অফিসের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।
এপিবিএন সূত্রে জানা গেছে, পানবাজার পুলিশ ক্যাম্প-৯ এর আওতাধীন ক্যাম্প-৮ ইস্ট এর চেকপোস্ট ৮ এর পুলিশের সিগন্যাল অমান্য করে সামনে এবং পেছনে “পুলিশ” স্টীকারযুক্ত একটি “TOYOTA AVANZA” গাড়ি (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-গ-২৩-৮৬৭৩) ক্যাম্পের ভেতরের দিকে যেতে থাকে এবং সিআইসি ৮-ইস্ট এর অফিসের সামনে গিয়ে দাড়ায়।
এ সময় গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের নাম পরিচয় জানতে চাইলে গাড়িতে থাকা একজন নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের এএসপি পিয়াল হিসেবে পরিচয় দেন।বিস্তারিত জানতে চাইলে সে নিজেকে ৩৪ তম বিসিএস পুলিশের একজন সদস্য যার বিপি নং-330717 এবং পোস্টিং পুলিশ হেডকোয়ার্টার, মিন্টো রোড, ঢাকা বলে জানায়।
তাদের কথাবার্তায় সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশ সদস্যরা ক্যাম্প কমান্ডার সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।
ক্যাম্প কমান্ডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি এক পর্যায়ে স্বীকার করে যে সে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য নয়। পরে তাদের আটক করা হয় এবং গাড়ীটি জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত ওই গাড়িতে “মো: আমানুল্লাহ পলাশ” নামধারী একটি পুলিশ সার্জেন্ট এর আইডি কার্ডও পাওয়া যায় যেটি গাড়িতে থাকা কোন ব্যক্তিদের নয় এবং প্রতারণার কাজে এটি ব্যবহৃত হয় বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে আটক ব্যক্তিদের পরিচয়, কার্যক্রম এবং মিথ্যা পরিচয় দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় প্রবেশের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধানসহ উখিয়া থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে এমনটি জানিয়েছেন ৮-এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কামরান হোসেন।
পাঠকের মতামত