
নিজস্ব প্রতিবেদক:
উখিয়া প্রেসক্লাবের সেক্রেটারির নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছে ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রফিক উদ্দিন বাবুল। তবে বিষয়টি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবী করছে সেক্রেটারী কমরুদ্দিন মুকুল।
এদিকে ২১ আগস্ট কার্যকরি কমিটির এক সভায় অভিযোগটি আমলে নিয়ে সত্যতা যাচাই করার জন্য ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলো ফারুক আহমেদ, হানিফ আজাদ, আমানুল হক বাবুল, সোলতান মাহমুদ চৌধুরী ও নুর মোহাম্মদ সিকদার।
উক্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে এমনটি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
অভিযোগে প্রকাশ, কামরুদ্দিন মুকুল পরপর দুই-তিন বার ক্ষমতায় থাকার কারণে এলাকার সুবিধা-অসুবিধা, অনিয়ম দুর্নীতি সহ সব ধরণের তথ্য তার জানা। তিনি গত কমিটির সভাপতি সরওয়ার আলম শাহীনের তথা প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির অগোচরে ক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে কামরুদ্দিন মুকুল উখিয়া ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে কুতুপালং বাজার থেকে ২১টি দোকান লীজ নেয়। পরবর্তীতে কুতুপালংয়ের বিভিন্ন জনের নামে দোকানগুলো বরাদ্দ দিয়ে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তৎমধ্যে সভাপতি সরওয়ার আলম শাহীনকে ম্যানেজ করার জন্য তার নামেও একটি দোকান বরাদ্দ নেয়া হয় বলে জানা গেছে।
প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রে স্পষ্ট লিখা আছে প্রেসক্লাবের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কিছু করতে হলে কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। এমনকি কমরুদ্দিন মুকুলের প্রেস সম্পর্কে কোন ধারণা নেই বলেও দাবী তুলেছে অভিযোগে।
অভিযোগে আরো প্রকাশ, সার্ভেয়ার কামরুজ্জামান বলেন, এরকম জানলে কাজটি হতো না। আমরা মনে করেছি তিনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রেসক্লাবের জন্য ওই দোকানগুলো নিয়েছে।
শুধু তাই নয়, প্রেসক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে আরফাত হোটেলের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত তার ব্যক্তি অফিসের আসবাবপত্র নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ারকে ফোনে না পেয়ে সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির জুশানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ সংক্রান্ত ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ তদন্তের রিপোর্ট পেলে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত