পলাশ বড়ুয়া: জরুরী খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৫২২৯জন উপকারভোগীর মাঝে শর্তহীন ভাবে জনপ্রতি ৪৫০০টাকা করে বিতরণ করেছে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। এদের মধ্যে উখিয়া উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের (রাজাপালং, পালংখালী ও জালিয়াপালং) ৩৪৪৫জন এবং টেকনাফের ২টি ইউনিয়ন (বাহারছড়া ও হ্নীলা) ১৭৮৪জনকে নগদ ২ কোটি ৩৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৫শ টাকা বিতরণ করা হয়। এর আগে ২০২০ সালেও ওই পরিবার গুলোকে ৭ কোটি ৫ লক্ষ ৯১ হাজার ৫শ টাকা বিতরণ করা হয়।
বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে উখিয়া উপজেলা পরিষদ হল রুমে কোভিড এবং রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় জনগোষ্টির মাঝে এই অর্থ প্রদান করা হয়।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ কক্সবাজারস্থ অফিসের রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স এর ডিরেক্টর ড. ফ্রেডরিক ক্রিস্টোফার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ তালিকাভুক্ত উপকারভোগীদের মাঝে নগদ অর্থ তুলে দেন।
এ সময় ইউএনও বলেন, করোনা মহামারি ও সম্প্রতি বন্যা পরিস্থিতিতে উখিয়া উপজেলার ৮৩০০ পরিবারকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়। তৎমধ্যে ওয়ার্ল্ড ভিশনসহ বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা পাশে ছিল। দূর্যোগকালীন এই সময়ে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ধারাবাহিক নগদ অর্থ সহায়তা মানুষের জীবন মানোন্নয়নে সহায়ক ভুমিকা রাখবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সঞ্জুর মোর্শেদ, সাবেক যুগ্ম সচিব ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর গভ: রিলেশান এ্যাডভাইজার মো: আনোয়ারুল হক, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো: সলিম উল্লাহ।
ওয়ার্ল্ড ভিশনের অর্থ সহায়তা পেয়ে শাকসবজি চাষ, হাস-মুগরী, ছাগল পালন ও ক্ষুদ্র ব্যবসা করে পরিবারের স্বচ্ছলতা আসছে বলে জানিয়েছেন উপকারভোগী রাজিয়া বেগম, জিয়াউর রহমানসহ আরো কয়েকজন।
কক্সবাজার জেলায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর বিভিন্ন কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রোগ্রাম কোয়ালিটি ডিপার্টমেন্টের প্রধান অতুল ম্রং। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইমার্জেন্সী ফুড সিকিউরিটি প্রোগ্রামের ডেপুটি চিফ অব পার্টি রায়ান জমিনিক বালাসো। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নিউট্রিশান অফিসার মুসাররত মারইয়াম।
পাঠকের মতামত