কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় সূত্রে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই কর্মসূচির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রোহিঙ্গাদের মাঝে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত।
ইউএইচসিআর সূত্রে জানা গেছে, একজন ব্যক্তিকে দুই ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। যেখানে দুটি ডোজের মধ্যে ৪ সপ্তাহের ব্যবধান থাকবে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার সামশু দৌজা নয়ন জানান, আজ ১০ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে উখিয়া-টেকনাফ ও ভাসানচরসহ ৩৫ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৫৬টি প্রথম দফায় ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ ৬৬ হাজার জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
কক্সবাজারস্হ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার অফিসের প্রধান স্বাস্থ্য সমম্বয়ক ডা. আবু ত্বোহা বলেন, ভ্যাকসিন কার্যক্রমে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৮৬টি টিম কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ৫৬টি কেন্দ্রের মাধ্যমে আজ সকাল থেকে রোহিঙ্গাদের করোনা টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী ৫৫ বছরের উর্ধ্বে বয়স্ক রোহিঙ্গাদের শুরুতে এ টিকার আওতায় আনা হচ্ছে।
করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার পর কুতুপালং-৪এক্সটেনসন এর বাসিন্দা মোহাম্মদ শফি (৬৪) বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য করোনার টিকা ব্যবস্থা করা সরকারকে ধন্যবাদ। আমি নিজে টিকা দিয়েছি। কোন ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। একই কথাবলেন, টিকা নেয়া জুহুরা খাতুন।
কুতুপালং-২ ইষ্ট এর বাসিন্দা গোলবাহার (৬৮) আজ দুপুরে কোন ধরণের ঝামেলা
ছাড়া করোনার টিকা দিয়েছি। আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
এ সময় কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা: মাহবুবুর রহমান, বিভিন্ন ক্যাম্পের ইনচার্জ ও সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২৮ জন আক্রান্ত হয়ে মারা যান। গত ৯ আগস্ট পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা করেছেন ৫৪৭৯৬জন। তৎমধ্যে শনাক্ত হয়েছে ২৫৭৭জন। আইসোলেশনে রয়েছে ২৩২জন রোহিঙ্গা।
পাঠকের মতামত