ডেস্ক রিপোর্ট।। রোহিঙ্গা ইস্যুতে রিফিউজি পলিসি রিভিউ ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার প্রকাশিত বিবৃতিতে এসব উত্তর দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাংকের অবস্থান কী এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়েছে-বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাহিদা মোকাবেলায় তাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত সহায়তা করছে। আশ্রয় দেওয়া জনগোষ্ঠীর ওপর এর প্রভাব কমাতে বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশকে সহায়তা করছে। দ্বিতীয় প্রশ্ন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আগমনে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে কতটুকু সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে-এর জবাবে বলা হয় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য স্বাস্থ্য, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা, নিরাপত্তা বেষ্টনী, পানি ও স্যানিটেশন এবং মৌলিক অবকাঠামো, জলবায়ু স্থিতিস্থাপক রাস্তা, সৌর রাস্তার আলো এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও আশ্রয় দেওয়া স্থানীয় জনগণ উভয়ের দুর্যোগ প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা সমাধানে বাংলাদেশের জন্য ৫৯ কোটি ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের গবেষণা ও বিশ্লেষণ কক্সবাজারের চ্যালেঞ্জ এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকার বোঝার জন্য অন্তর্দৃষ্টি দিয়েছে।
এটি ঋণ না অনুদান এমন প্রশ্নের জবাবে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৫৯ কোটি ডলার সম্পূর্ণ অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
রিফিউজি পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক পর্যালোচনার উদ্দেশ্য কী? এ প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে, শরণার্থী নীতি পর্যালোচনার উদ্দেশ্য শরণার্থী এবং আশ্রয় দেওয়া স্থানীয় জনগণের জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের কার্যকারিতা ও প্রভাব মূল্যায়ন করা। এ পর্যালোচনাটি বিশ্বব্যাংকের ১৪টি সদস্য দেশের জন্য করা হয়েছে, যারা বর্তমানে বাস্তুচ্যুত জনসংখ্যাকে আবাসনের ব্যবস্থা করেছে।
শরণার্থী নীতি পর্যালোচনা কিভাবে করা হচ্ছে-এর জবাবে বলা হয়েছে, শরণার্থী নীতি পর্যালোচনা কাঠামো অনুসরণ করে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) পর্যালোচনাটি করেছে। ইউএনএইচসিআর বিদ্যমান নীতি, অনুশীলন ও কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে তথ্য সংগ্রহ করেছে।
সর্বশেষ শরণার্থী নীতি পর্যালোচনা কি রোহিঙ্গা জনসংখ্যার বিষয়ে বাংলাদেশকে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করে-এমন প্রশ্নের জবাবে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, না, পর্যালোচনায় কোনো দেশের জন্য নির্দিষ্ট সুপারিশ করে না।
প্রসঙ্গত, রোববার গণমাধ্যমে ‘রোহিঙ্গাদের অধিকার উপেক্ষা করছে বিশ্বব্যাংক : স্থানীয় জনগণের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অবাধ কাজকর্ম করা এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এর বিপক্ষে শক্ত মতামত দেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের কাছে মতামত পাঠানোর শেষ তারিখ ছিল ৩১ জুলাই। পরে ১০ দিন সময় চেয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
পাঠকের মতামত