সিএসবি ডেস্ক।। ঈদুল আযহার ছুটি শেষে শুক্রবার থেকে সারাদেশে ফের আরোপ করা হচ্ছে কঠোর লকডাউন। লকডাউন বাস্তবায়নে এবার ‘আরও কঠোর’ হওয়ার কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
করোনাভাইরাসে সংক্রমণে আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যার উল্লম্ফন ঠেকাতে গত ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর লকডাউন আরোপ করে সরকার। পরে ঈদুল আযহায় মানবিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নয় দিনের জন্য শিথিল করা হয় বিধিনিষেধ।
ঈদযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছিল পথে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন পরিচালনার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটি।
তাদের পরামর্শ মোতাবেক সরকার ঈদের পরই ফের ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন আরোপ করতে যাচ্ছে।
শুক্রবার থেকে এই লকডাউন আরোপ করার কথা জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সমকালকে বলেন, ‘কঠোর লকডাউন বলতে এবার অফিস আদালত, গার্মেন্টস, রপ্তানি সব বন্ধ থাকবে। আগের মতো মানুষের প্রয়োজন হবে না বাইরে যাওয়ার। এবারের লকডাউন গতবারের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কঠিন হবে। মাঠে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনা সদস্য থাকবে।’
ঈদ উদযাপনের জন্য যারা গ্রামের বাড়িতে গেছেন, তারা যেন লকডাউন শেষ হলেই কর্মস্থলে ফিরেন তার অনুরোধ করেন ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘যারা গিয়েছে, তারা জানে যে সব বন্ধ থাকছে, তাদের কর্মক্ষেত্রও বন্ধ থাকছে। তারা সময় নিয়েই গেছে। আমি বলব, তারা যেন পাঁচ তারিখের পরেই আসে। এখন তাদের আসার প্রয়োজন নেই।’
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এই ১৪ দিনের লকডাউনের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এই ১৪টা দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে আমাদের আহ্বান থাকবে, মানুষকে ঘরে থাকতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসা যাবে না। ঘরের বাইরে আসলে অবশ্যই ডাবল মাস্ক পড়বে। যদি এটা করতে পারি ১৪ দিনের জন্য তাহলে আমরা সংক্রমন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারব। না হলে তা বাড়তে থাকবে। হাসপাতালে রোগীর চাপ কমাতে আমাদের অসুবিধা হবে।’
পাঠকের মতামত