
মান্দা (নওগাঁ) সংবাদদাতা:
নওগাঁর মান্দায় স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতনে গৃহবধু হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ মরিয়ম (মমতা) বেগম নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের আঁশনদী গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের মেয়ে ।
স্থানীয়রা জানান, উত্তর পরানপুর গ্রামের মৌলভী পাড়ার মোস্তাক আহমেদের ছেলে কামেল হাসানের সঙ্গে ৩ বছর আগে নিয়ামতপুর উপজেলার আঁশনদী গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের মেয়ে মরিয়ম (মমতা)’র বিয়ে হয়। মরিয়ম মমতার স্বামী কামেল হাসান পেশায় একজন কৃষি ব্লক অফিসার স্থানীয়রা জানান, ইতিপূর্বে ও প্রায় কামেল হাসান তার স্ত্রীকে মারধর করতেন। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে ছিল।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে গৃহবধূর মৃত্যুর খবর জানতে পারেন স্বজনেরা। নিহত স্বজনদের অভিযোগ, মেয়ে মরিয়ম মমতার বিয়ের পর থেকে কামেল হাসান, শ্বশুর মোস্তাক আহমেদ ও শাশুড়ি জান্নাত ফেরদৌসসহ মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তার পরিবার।
নিহতের শ্বশুর মোস্তাক আহমেদ জানান,তার ছেলে বলেন মরিয়ম ষ্ট্রোক করেছে ডাক্তার দেখাতে হবে। সাথে সাথে ফোন করে ডাক্তার নিয়ে আসে। ডাক্তার বলেন জীবন আছে, হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে মান্দা উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের স্বামী জানান হঠাৎ সকাল ১০ টার দিকে তার স্ত্রী মরিয়ম (মমতা) অসুস্থ হয়ে পড়ে, আর অসুস্থ জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। মারধরের বিষয়টি এড়িয়ে যান।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পাঠকের মতামত