
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
কক্সবাজারের উখিয়ায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এক স্কুল ছাত্রের উপর সশস্ত্র হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র নজরুল ইসলাম(১৭)। সে ছোট ইনানীর আব্দুল আলমের ছেলে। ওই সময় তার পকেটে থাকা কোরবানির পশু কেনার দেড় লক্ষ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় জানা গেছে।
সোমবার (১৯ জুলাই) রাত ৮টার দিকে জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ডেইলপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত স্কুল ছাত্র নজরুলের পিতা আব্দুল কালাম বাদী হয়ে উখিয়া থানা লিখিত এজাহার দিয়েছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ডেইলপাড়া এলাকার মৃত মো: আজিজ প্রকাশ কালু মেম্বারের ছেলের আবুল কালামের নেতৃত্বে খাইরুল আমিনের ছেলে সাইদুল ইসলাম বশর, আব্দুল হাকিমের ছেলে মো: শাকিব, আব্দু শুক্কুরের ছেলে মিজানুর রহমান, মৃত আব্দুস ছালামের ছেলে মো: তোফাজ্জল, ফরিদ আলমের ছেলে মো: মফিজ, ইব্রাহীমের ছেলে মো: ইমরান, মো: মোফাচ্ছেল, পিতা- অজ্ঞাত, মো: শাইদ, পিতা- অজ্ঞাত, মো: সায়েদ উল্লাহর ছেলে মো: আতিকসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জন যাত্রীবাহী অটোরিক্সার গতিরোধ করে আহত স্কুল ছাত্রের উপর ধারালো দা, লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করলে মাথা, হাতে-পায়ে রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হয়। এ সময় পিতা কর্তৃক দেয়া গরু কেনার জন্য তার পকেটে থাকা এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার নগদ টাকা ও ৩০ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। তার শোর চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে দ্রুত উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
বাদী আব্দুল আলম আরো বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমার স্কুল পড়ুয়া ছেলে নজরুল ইসলামকে হুমকি দিয়ে আসছিল একদল সন্ত্রাসী। তারই জেরে সোমবার এঘটনা করে। বর্তমানে আমার ছেলে নজরুলের জীবন নিয়ে শঙ্কায় দিনাতিপাত করছি।
অভিযুক্ত আবুল কালাম মেম্বার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার রাতে হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে গিয়ে দুই পক্ষকে তাড়িয়ে দিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করে। তবে হামলার ঘটনায় তিনি জড়িত নন বলে জানান।
উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, মারামারি হয়েছে শুনেছি। তবে এখনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠকের মতামত