নিজস্ব প্রতিবেদক:
মোবাইল চুরির অভিযোগ তুলে কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী হাকিম পাড়ায় দুই যুবককে গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো থাইংখালী হাকিমপাড়ার
মৃত নজু মিয়ার ছেলে আব্দু সালাম, একই এলাকার মুফিজ উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিনের সহযোগিতায় তাদের পুলিশে সোপর্দ করে বলে জানা গেছে। পরে নির্যাতিত নুরুল আবছারের বড় ভাই কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। যার মামলা নং ৫০(০৭)২১।
নির্যাতনের শিকার একজন উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের হাকিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাসেমের ছেলে আবছার। অপরজন একই এলাকার শাহ আলমের ছেলে নয়ন।
গত বৃহস্পতিবার নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় ঘটনার দিন বিকেল ৩টার দিকে আব্দুস সালাম তার বাড়ির ওঠানে রশি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে বর্বর নির্যাতন চালায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, আবছার ও নয়নকে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করছে। নির্যাতন করতে করতে এক পর্যায়ে মাটিতে পড়ে গেলে জাহাঙ্গীরের পিতা মুফিজ উদ্দীন চৌধুরী ঘটনাস্থলে পৌঁছে। মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকা আবসারের কপালে লাথি মারে। এক পর্যায়ে তার নেতৃত্বে নির্যাতিত অসহায় দুই যুবকের নিকট কোন অভিযোগ না করার মর্মে স্ট্যাম্পে সই নেয়। অভিযোগ করলে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। নির্যাতিতদের চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হয়েছে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সঞ্জুর মোরশেদ জানান, বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানার নির্দেশনায় তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত দুইজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
পাঠকের মতামত